ভবন তৈরিতে প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে ধ্যান-ধারণা। পরিবর্তন আসছে নির্মান সামগ্রীতে। বদলাছে নকশা, যোগ হচ্ছে নতুন নতুন সুযোগ-সুবিধা। স্থপতিরা সারাক্ষণ ব্যস্ত নতুন নতুন নকশা নিয়ে আসতে।
ওয়াসিয়া হোটেল ডাউনটাউন, সিঙ্গাপুর (সংগৃহীত ছবি)
সিঙ্গাপুরের ব্যস্ততম বাণিজ্যিক এলাকায় ভবনটির অবস্থান। ডিজাইন করেছে ডাব্লিউওএইচএ আর্কিটেক্টস৷ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি এই ভবনকে ‘পাখি ও অন্যান্য প্রাণীর জন্য নিরাপদ স্বর্গ’ বলে উল্লেখ করেছে৷ ভবনের নিচ থেকে উপর পর্যন্ত রয়েছে প্রকৃতির ছোয়া। বৃক্ষ-লতা-গুল্ম শোভিত ভবনটিতে অনায়াসে বাসা তৈরি করে সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে পারবে পাখি।
বৈরুত টেরেসেস, বৈরুত, লেবানন (সংগৃহীত ছবি)
পরিবেশ ও আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে বদলায় মানুষের জীবন-যাপন। বদলায় ঘর-বাড়ির নকশা। ভূমধ্যসাগরীয় আবহাওয়ায় বসবাস কেমন হয়, তার একটা নান্দনিক উপস্থাপনা করেছেন স্থপতি হেরসগ এবং ডি ময়রন৷ লেবাননের রাজধানী বৈরুতে এর অবস্থান৷ ভবনের ভেতর ও বাইরের মধ্যে এমনভাবে সামঞ্জস্য আনা হয়েছে, যাতে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসও অনায়াসে একপাশ দিয়ে ঢুকে আরেক পাশ দিয়ে বের হয়ে যেতে পারবে। এর নকশাটাও ব্যতিক্রম। মনে হবে অনেকগুলো টাইলস একটার উপর আরেকটা দাঁড় করানো।
মাহানাখোন, ব্যাংকক, থাইল্যান্ড (সংগৃহীত ছবি)
৭৭ তলা উঁচু এই ভবনটি থাইল্যান্ডের সর্বোচ্চ ভবন৷ পিক্সেলের অবয়বে তৈরি এই ভবন এরই মধ্যে দেশটির অন্যতম দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে৷ জার্মান স্থপতি ওলে শীরিন ভবনটি ডিজাইন করেছেন। এটি হঠাৎ দেখলে মনে হবে কেউ যেন ভবনটিকে বোমা মেরে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে।
টোরে রিফর্মা, মেক্সিকো সিটি (সংগৃহীত ছবি)
৮০৭ ফুট উঁচু এই ভবনটি মেক্সিকোর সবচেয়ে উঁচু ভবন৷ ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে থাকা এলাকাটিতে কম্পন সহনীয় করেই প্রস্তুত করা হয়েছে ভবনটিকে৷ ভবনটি ডিজাইন করেছেন এল বেন্জামিন রোমানো। ভবনটি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অফিস হিসেবে ব্যবহার করে থাকে৷ এটি এমনভাবে তৈরি যে, অনেক শক্তিশালী বাতাসও ভবনটিকে সহজে ধাক্কা দিতে পারবে না।
চাওইয়াং পার্ক প্লাজা, বেইজিং, চীন (সংগৃহীত ছবি)
এই ভবনটির ডিজাইনকে একইসাথে ‘অপ্রচলিত, কিন্তু সামঞ্জস্যপূর্ণ’ বলে বর্ণনা করেছেন ইন্টারন্যাশনাল হাইরাইজ অ্যাওয়ার্ড-এর বিচারকরা৷ চীনের ঐতিহ্যবাহী পেইন্টিং থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এ ডিজাইন করেছেন বেইজিংয়ের এমএডি আর্কিটেক্টস৷ বিচারকরা বলছেন, এই ভবনে আধুনিক স্থাপত্য ভাষাকে নিজস্ব সংস্কৃতিতে অনুবাদ করেছেন ডিজাইনাররা৷ অর্থাৎ, ভবনের ডিজাইনের পুথিগত কোন ব্যাখ্যা নেই। দূর থেকে ভবনটিকে অনেকটা ক্যাকটাসের মতো মনে হয়।