মুখে ব্রণ বা ফুসকুড়ি বিরক্তিকর। সেই সঙ্গে মুখের সৌন্দর্যকে বহুলাংশে কমিয়ে দেয় ব্রণ। এছাড়াও কমিয়ে দেয় আত্মবিশ্বাস। অনেকের ক্ষেত্রে ব্রণ সেরে গিয়ে বারবার হয়।
ব্রণ হওয়ার অন্যতম কারণ হলো অপরিষ্কার ত্বক।
১। পাকা পেঁপে চটকে নিন (এক কাপের মতো)। এর সঙ্গে এক চামচ পাতিলেবুর রস এবং প্রয়োজন মতো চালের গুঁড়ো মেশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মুখসহ সারা শরীরে লাগান। ২০-২৫ মিনিট মাসেজ করে ধুয়ে ফেলুন। পেঁপে ছাড়াও ব্যবহার করতে পারেন ঘৃতকুমারীর রস।
আরও পড়ুন: অনিদ্রার কারণে হতে পারে যেসব মারাত্মক অসুখ
২। পুদিনা পাতার রস করে তা দিয়ে আইস কিউব তৈরি করুন। ফুসকুড়ি ও ব্রণের এই আইস কিউব ঘষুন ১০-১৫ মিনিট। এতে ফুসকুড়ি ও ব্রণের সংক্রমণ কমার পাশাপাশি ত্বকের জ্বালাপোড়াও দূর হবে।
৩। পুদিনা পাতা ত্বকের অতিরিক্ত তেল এবং ব্রণের সংক্রমণ কমাতে খুবই উপকারী। টাটকা পুদিনা পাতা বেটে ত্বকে লাগান। ১০-১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর হবে। অতিরিক্ত গরমের কারণে ত্বকে ফুসকুড়ি এবং ব্রণ হলে সেগুলো দূর করতেও পুদিনা পাতা উপকারী। টাটকা পুদিনা পাতা বেটে ব্রণে ২০ মিনিট লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৪। লবঙ্গ মূলত মসলা হিসেবে পরিচিত হলেও ব্রণ সারাতে কার্যকর। লবঙ্গের তেল দিয়ে ত্বক মাসাজ করা উপকারী। ত্বকে ব্রণের সংক্রমণ বেড়ে গেলে লবঙ্গ গুঁড়ো করে তাতে গোলাপ জল মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। ব্রণের মিশ্রণের মোটা প্রলেপ দিন। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ব্রণ দূর হতে বাধ্য।
৫। টক স্বাদের কদবেল খেতে অনেকেই ভালবাসেন। কাঁচা কদবেলের রস ব্রণের জন্য খুবই উপকারী। কাঁচা কদবেলের রস তুলাতে ভিজিয়ে ব্রণে লাগান। ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। দেখুন খেল।
আরও পড়ুন: ব্রণের কালো দাগ ৭ দিনেই শেষ যেভাবে
৬। যাঁদের ব্রণের পরিমাণ বেশি তাঁরা পাতিলেবুর রস দিনে দু’তিনবার লাগান। তবে একটানা ১০ মিনিটের বেশি রাখবেন না। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
৭। নিমপাতা খুব ভাল জীবাণুনাশক। তাই ব্রণ সারাতে নিমপাতা খুবই উপকারী। নিমপাতা বেটে সঙ্গে চন্দনের গুঁড়া মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। এই মিশ্রণ ত্বকে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
৮। ধনেপাতাও ব্রণ সারাতে কার্যকর। ধনেপাতা বেটে তাতে কয়েক চিমটি হলুদ গুঁড়া মেশান। মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে ২০-২৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। উপকার পাবেন।
৯। গোলাপ জলের নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণের দাগ কমে যায়। দারুচিনি গুঁড়োর সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। এই মিশ্রণ ব্রণের ওপর লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ব্রণের সংক্রমণ, চুলকানি এবং ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে।
১০। ১ লিটার জলতে ২৫০ গ্রাম টাটকা নিমপাতা জ্বাল দিন। জলর পরিমাণ অর্ধেক না হওয়া পর্যন্ত জ্বাল দিতে থাকুন। এই জল ছেঁকে ঠান্ডা করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এই জল পান করলে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যাবে।
তাহলে আর দেরি নয়। আজই প্রয়োগ করুন এসব উপায়।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)