একদিকে মহাকাশে একের পর এক স্যাটেলাইট পাঠাচ্ছে ভারত, গড়ে উঠছে বিজ্ঞান-গবেষণার বড় বড় সব প্রতিষ্ঠান; অন্যদিকে সেই ভারতেরই একটা বড় অংশ তলিয়ে আছে অন্ধকারে! নারী স্বাধীনতা, নারীর ক্ষমতায়ন এই সব নিয়ে যতই চর্চা হোক না কেন, দেশটির সরকার মেয়েদের অধিকার রক্ষায় যাই পদক্ষেপ করুন না কেন, বাস্তবের চিত্র বড়ই ভয়ঙ্কর। ভারতে এই একুশ শতকেও বেশ কিছু জায়গা আছে যেখানে এখনও মেয়েদের প্রকাশ্যে বেচা কেনা চলে।
আইন-পুলিশ-সমাজ-রাষ্ট্রের সামনেই চলছে এসব অপকর্ম। এমনকী মেয়েদের ওপর এমন ভয়াবহ নির্যাতনের জন্য নেই কোনো অপরাধবোধ।
আরও পড়ুন:আট বছর বয়সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র!
রীতিমতো দৈনন্দিন সামগ্রীর মতোই গ্রামের বাজারে নিলামে তোলা হয় মেয়েদের।
তবে শুধু মধ্যপ্রদেশই নয়, ভারতের গুজরাটেও এই ধরনের প্রথার প্রচলন রয়েছে। ২০১৭ সালে এমনই এক ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসে। ইন্দোরের এক ব্যক্তি বিয়ে বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রীকে বিক্রি করে দেন ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে। অসংখ্যবার ধর্ষণের পর তাকে আরও একবার বিক্রি করে দেওয়া হয় শিবপুরী জেলার এক লোকের হাতে। কোনোরকমে সেখানে থেকে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে এসে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন সেই নির্যাতিতা। তার ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার করা হয় মেয়ের স্বামীকে।
ভারতের এসব এলাকায় এখনও আধুনিক জীবনের ছোঁয়া লাগেনি। এসব জায়গায় কন্যাভ্রুণ হত্যা হয় ব্যাপকহারে। মেয়েদের সংখ্যা কমে যাওয়ায় একই পরিবারের একাধিক ভাই একজন মেয়েকেই বিয়ে করেন! অন্য জেলা থেকে অপহরণ করে এনেও এসব জায়গায় মেয়েদের বিক্রি করা হয়। এসব মেয়ের স্বাধীনতা তো দূরে থাক, শারিরীক-মানসিক আর যৌন নির্যাতন ভোগ করা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না। পুলিশও এসব ব্যাপারে খুব একটা নাক গলাতে চায় না; তাই প্রকাশ্যেই হয়ে চলছে এমন জঘন্য অপরাধ। যার শেষ কোথায়, কেউ জানে না!
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল)