বন্ধুত্বের সম্পর্কে যা করবেন না

প্রতীকী ছবি

বন্ধুত্বের সম্পর্কে যা করবেন না

অনলাইন ডেস্ক

ছোট্ট একটি শব্দ ‘বন্ধু’। কিন্তু ব্যক্তি জীবনে এর গুরুত্ব অপরিসীম। এর মাঝেই মিশে আছে যেন পৃথিবীর সব নির্ভরতা। বন্ধুত্ব মানেই জীবনের সবুজতম সম্পর্ক।

 

দুটি দেহের একটি প্রাণ। আরও সহজ করে বলতে গেলে, আত্মার কাছাকাছি যে বাস করে, সেই বন্ধু। সু-সময় কিংবা অসময়ের সঙ্গী। এই সঙ্গীর সঙ্গে এমন কোনো কাজ করা যাবে না।

যাতে করে সম্পর্কে চির ধরে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজ তাদের এক প্রতিবেদনে বলছে পাঁচটি কাজে বন্ধুত্বে সবচেয়ে বেশি ঝামেলা লাগে। আসুন সেগুলো একটু জেনে নেই।

লজ্জায় ফেলবেন না:
বন্ধু তো বন্ধু। সে দেখতে কেমন, তা ভাবনা ঠিক নয়। বন্ধুত্বের সম্পর্ক ভালো হলেও বন্ধুর গায়ের রং বা বর্ণ নিয়ে কখনো খোঁচা দিয়ে কথা বলতে নেই। বন্ধুকে খোঁচা দিয়ে কথা বলার চেয়ে প্রশংসা করলে সম্পর্ক আরও গাঢ় হয়। প্রীতি আর সম্মান বন্ধুত্ব জোরালো করে।

নিরুৎসাহ করবেন না:
বন্ধুকে ভালো কাজে যত পারেন উৎসাহ দিন। বন্ধুর অনেক সময় সমর্থন, সাহায্য আর নির্দেশনার প্রয়োজন হতে পারে। বন্ধুর পাশে থাকুন। যদি বন্ধু অনৈতিক বা খারাপ দিকে যেতে থাকে, তবে তাকে বুঝিয়ে বলুন। ভালো কাজে উৎসাহ দিন। বন্ধুর আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তুলুন। বন্ধুর শক্তিকে আবিষ্কার করতে সাহায্য করুন। তবেই ভালো বন্ধু হতে পারবেন।

বন্ধুর গোপন কথা ফাঁস করবেন না:
বন্ধুর গোপন কথা অন্য কারও কাছে বলতে নেই। তার দুর্বল জায়গায় খোঁচা দিতেও নেই। বন্ধু হচ্ছে বিশ্বাস আর আস্থার জায়গা। ঘনিষ্ঠ বন্ধু বিশ্বাস করে অনেক গোপন কথা বলতে পারে। কাউকে যেন বিশ্বাসভঙ্গের বেদনায় পুড়তে না হয়।


আরও পড়ুন:

লাল চাল খাওয়ার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর 

‘আইসোলেশন’ শেষে গণভবনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ছাড়া আর কোনো নাম নিতে শুনিনি: কাদের সিদ্দিকী


সুসময়ের বন্ধু হবেন না:
কথায় বলে, সুসময়ে অনেকই বন্ধু বটে হয়, অসময়ে হায় হায় কেউ আরও নয়। আপনার বেলায় যেন তা না ঘটে। যদি সুসময়ে বা আপনার দরকারে বন্ধুকে কাছে টানেন, তবে এই মধুর সম্পর্কের প্রতি আপনি অবিচার করবেন। বিপদে বন্ধুর পাশে থাকুন। একসঙ্গে হাসুন, একসঙ্গে বেদনা ভাগাভাগি করুন।

অর্থই অনর্থের মূল:
কথায় বলে, কাছের বন্ধুকে টাকা ধার দিতে নেই, তাহলে সম্পর্ক নষ্ট হয়। বন্ধুত্বের সম্পর্কের মধ্যে যদি অর্থের বিষয় যুক্ত থাকে, মনোমালিন্য তৈরি হতে পারে। বন্ধুত্বের মধ্যে যেন বিব্রত ও অস্বস্তিকর অবস্থা চলে না আসে সে বিষয়টি খেয়াল রাখা উচিত। বন্ধুর যদি আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকে, তবে তাকে স্বনির্ভর হতে বা ঘুরে দাঁড়াতে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করতে পারেন।  

news24bd.tv/ নাজিম