ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজিতে (আইইউবিএটি) হয়ে গেল দুই দিনব্যাপি ১৬তম সাউথ এশিয়ান ম্যানেজমেন্ট ফোরাম।
গত শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর উত্তরায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই অনুষ্ঠান শুরু হয়।
অনুষ্ঠানের আয়োজন করে, অ্যাসোসিয়েশন অব ম্যানেজমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউশনস ইন সাউথ এশিয়া (এএমডিআইএসএ)। এবারের আয়োজনের মূল প্রতিপাদ্য ‘ইমপ্যাক্ট অফ প্যানডেমিক অন বিজনেস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট: স্ট্রাটেজিস ফর সাস্টেনিবিলিটি অ্যান্ড গ্রোথ’।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় আয়োজনে উপস্থিত অতিথি ও অংশগ্রহণকারীরা। এরপর একে একে আইইউবিএটি এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রব, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. হামিদা আখতার বেগম, কোষাধাক্ষ্য অধ্যাপক সেলিনা নার্গিস মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন। এছাড়াও অনলাইনে এ আয়োজনের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন পাকিস্তানের শুকুর আইবিএ ইউনিভার্সিটি এর উপাচার্য এবং এএমডিআইএসএর সভাপতি অধ্যাপক ড. সৈয়দ মীর মোহাম্মাদ শাহ।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে স্বাগত বক্তব্যে অধ্যাপক সেলিনা নার্গিস বলেন, ‘১৯৯১ সালে দেশের মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষার প্রত্যয় নিয়ে পথচলা শুরু করে আইইউবিএটি।
অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন কলোম্বোর ইউনিভার্সিটি অব শ্রী জয়েরদেনপুরার পোস্ট গ্রাজুয়েট ইনিস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের ফর্মার পরিচালক অধ্যাপক ড. আজান্তা ধার্মেশ্বরী। মহামারী পরবর্তী সময়ে বৈশ্বিক বানিজ্য ব্যাবস্থাপনায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর করণীয় এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর দ্বায়িত্ব সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত আলাপ করেন। এরপর আয়োজনের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লাহোর ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সের অধ্যাপক এমেরিটাস ড. সৈয়দ জহুর হাসান। তিনি বলেন, ‘মহামারি উতরে যাওয়া মানেই সব সমস্যার সমাধান নয়। বরং মহামারী পরবর্তী সময়ে বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো কিভাবে মানুষের পাশে থাকতে পারছে, অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে সামগ্রিক পরিস্থিতিকে সামলে নিতে পারছে সেটা মুখ্য বিষয়। ’
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন পর্বে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহজাদ মুনিম বাংলাদেশে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর কার্যক্রম নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে আমি একই প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করেছি। বিভিন্ন সময়ে আমরা নানা দেশের সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করি। তবে সম্প্রতি সারা বিশ্বে একই সাথে আমরা জরুরি অবস্থার মুখোমুখি হয়েছি। এমন পরিস্থিতিকে কেউ ইতিবাচক ভাবে নিয়েছে, কেউবা নেতিবাচক ভাবে চিন্তা করেছে। তবে টিকে থাকতে পেরেছে তারাই যারা সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে। ’
আয়োজনের শেষ পর্বে উপাচার্য ড. আব্দুর রব বলেন, ‘এএমডিআইএসএ এর শুরু থেকে আমি কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। এই ফোরামের আয়োজন আমাদের জন্য গৌরবের বিষয়। ভবিষ্যতে এএমডিআইএসএ এর সাথে আরও নানা কার্যক্রমে আইইউবিএটি যুক্ত হবে বলে আমরা আশাবাদী। ’
১৮ ডিসেম্বর শনিবার দিনব্যাপি গবেষণা প্রবন্ধন উপস্থাপন করা হয়। এছাড়া বেলা ৩টায় সমাপনী পর্বে দেশ-বিদেশের গবেষকরা যুক্ত হয়। এবারের আয়োজনে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে ৯৬টি সারসংক্ষেপ ও ৫১টি প্রবন্ধ নিবন্ধিত হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রবন্ধ উপস্থাপনের জন্য ৭১ জন নিবন্ধিত হয়েছেন। এছাড়াও শতাধিক শিক্ষাবিদ, গবেষক এতে অংশগ্রহণ করেন।
এবারের অনুষ্ঠানে ১৫টিরও বেশি ব্যবসায়িক সংস্থার নীতিনির্ধারকরা গোলটেবিল অধিবেশনে অংশ নেয়। সমাপনী আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইবিএর পরিচালক এবং সাউথ এশিয়ান ম্যানেজমেন্ট ফোরামের সহ-সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন। এছাড়াও ফোরামের দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের শিক্ষাবিদ ও নীতিনির্ধারকরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন
উন্মুক্ত মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার, বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন
news24bd.tv এসএম