বঙ্গবন্ধুর ছোট ছেলে শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন আজ। সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধানের সন্তান হয়েও রাসেলের বেড়ে ওঠা ছিলো আর দশটা সাধারণ শিশুর মতই। শৈশবে তাকে কাছে থেকে দেখেছেন বঙ্গন্ধু পরিবারের ঘনিষ্ঠ, আলোক চিত্র শিল্পি পাভেল রহমান। শেখ রাসেলের জন্মদিনে তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন তিনি।
বৃটিশ দার্শনিক বার্টান্ড রাসেলের নামের সঙ্গে মিলিয়ে বঙ্গবন্ধু তাঁর কনিষ্ঠ সন্তানের নাম রেখেছিলেন শেখ রাসেল। রাসেল চাইতো বড় হয়ে সে কাজ করবে সেনাবাহিনীতে। ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর সড়কের বাড়িতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব দম্পতির কোল আলো করে জন্ম নেয় রাসেল।
বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের নেতা বঙ্গবন্ধুর জীবনের একটা বড় সময় কেটেছে কারাগারের অন্ধ প্রকষ্ঠে।
বিশিষ্ট আলোকচিত্র শিল্পী পাবেল রহমান শেখ রাসেলের স্মৃতিচারণ করে বলেন, 'বেশিরভাগ সময় রাসেল তার মা আর বোনদের সঙ্গেই সময় কাটাতেন। পছন্দ করতেন চাইকেল চালাতে। '
মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু কারাবন্দি ছিলেন পশ্চিম পাকিস্তানের জেলে। দুই ভাই শেখ কামাল ও শেখ জামাল যুদ্ধ করছে হানাদারদের বিরুদ্ধে। তাই যুদ্ধের পুরোটা সময় মা বোনদের সঙ্গে ধানমণ্ডির একটি বাড়িতে বন্দি ছিল রাসেল। বন্দি অবস্থা থেকে মুক্তি মেলে ১৯৭১ এর ১৭ ডিসেম্বর। জয় বাংলা শ্লোগানে সে বেরিয়ে আসে ঘর থেকে। বঙ্গবন্ধু ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে ফিরে এলে সেদিন রাসেল পিতাকে বিস্ময়ভরা দুচোখে দেখেছে, তাঁর স্নেহচুম্বনে সিক্ত হয়েছে। এরপর থেকে সে খুব একটা পিতার সান্নিধ্য ছাড়া থাকতে চাইত না।
আরও পড়ুন
মাগুরায় চার খুন, গ্রাম পুরুষশূন্য
নবীর ভবিষ্যদ্বাণী, বৃষ্টির মতো বিপদ নেমে আসবে
মানুষের সঙ্গে যেভাবে কথা বলতেন বিশ্বনবী
সূরা বাকারা: আয়াত ১২৮-১৩৩, আল্লাহর নির্দেশ ও হয়রত ইব্রাহিম (আ.)
১৫ আগষ্ট ১৯৭৫। চতুর্থ শ্রেনীতে পড়া ১০ বছর বয়সী রাসেলের জন্য সে রাতটি ছিল আতঙ্কের। পরিবারের সবাইকে হত্যার পর যখন ঘাতকরা অস্ত্র তাক করে তার দিকে, কান্না জড়িত কণ্ঠে রাসেল বলেছিল, আমি মায়ের কাছে যাবো। নরপিশাচ ঘাতকরা ছোট্ট রাসেলের সে কান্নাভেজা কথা শোনেনি। তারা নির্দয়ভাবে শিশু রাসেলকে হত্যা করেছে।
news24bd.tv রিমু