নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের আয় আগের মতোই থাকলেও রীতিমতো পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। তাই দ্রব্যমূল্যের এমন ঊর্ধ্বগতিতে ভালো নেই সাধারণ মানুষ। সপ্তাহের ব্যবধানে লাফিয়ে বেড়েছে আটা চিনি আলুসহ প্রায় সব রকম নিত্যপণ্যের দাম। সাধারণ মানুষ আমিষের চাহিদা পূরণে যে মুরগী ও ডিম খান, তার দামও বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে।
সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, বাজার থেকে পণ্য কেনা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠছে।
মানুষের আয়ের যে অবস্থা তার সাথে কোনোই মিল নেই বাজার দরের। রাজধানীর কারোয়ান বাজারে সপ্তাহের বাজার করতে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী মো. আরিফ। এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ঘুরছেন একটু কম দামে যদি পাওয়া যায় নিত্যপণ্য।
কাঁচা সবজির দোকানে দাম কম শুধু পেপে আর পটলের। কিন্তু একই সবজি ঘুফিরে আর কতেই খাওয়া যায়? অন্য প্রায় সব সবজির দামই ৫০ টাকার উপরে। শীতের সবজিও বিক্রির উপেযুক্ত হয়নি এখনও।
গত কিছুদিন ধরে স্থিতিশীল ছিল আলুর দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি ৫ কেজি আলুর দাম বেড়েছে ১০ টাকা। আদা- রসুনের দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা।
এরই মধ্যে পেঁয়াজ ও চিনি আমদানিতে শুল্ক কমিয়েছে এনবিএর। ফলাফল মোটামুটি স্থিতিশীল অবস্থায় আছে এই দুই পন্যের দাম।
আরও পড়ুন:
ইউনিয়ন নির্বাচন নিয়ে সহিংসতা, নিহত ৪
আ.লীগের মনোনয়নপত্র বিক্রি ১৬ থেকে ২০ অক্টোবর
দেশে সাম্প্রদায়িক হামলাগুলোর মদদ দিচ্ছে সরকার: ফখরুল
দ্বিতীয় বিয়ে করে সত্যিই 'সারপ্রাইজ' দিলেন মাহি
তবে একেবারে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে মুরগি ও ডিমের দাম। গরিব মানুষণ আমিষের চাহিদা পূরণে যে ব্রয়লার মুরগী খান সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ১০ টাকা। আর মিমের ডজন এখন ১১০ টাকা।
তবে চালের দাম আর বাড়েনি। মোটামুটি আগের দামেই বিকিও হচ্ছে মিনিকেট আটাশসহ অন্য চাল।
গরীবের খাদ্য মোটাচাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, আর মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজে
বাজারে ইলিশের বিক্রি বন্ধ থাকায় চোপ পড়েছে অন্য মাছের দামে।
এমন অবস্থায় প্রায় মাথা খারাপ অবস্থা সাধারণ ক্রেতাদের।
news24bd.tv তৌহিদ