দ্বিধাহীন দুর্নীতির অভয়ারণ্য হয়ে ওঠেছে সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিস। নানা অনিয়মের মাঝে যেখানে পাসপোর্টের জন্য জমাকৃত ফাইলের মাঝে অফিসেরই একটি চক্রের দেয়া নির্দিষ্ট ‘মার্কা’ (চিহ্ন) ব্যবহারের মাধ্যমে আদায় হচ্ছে এই মোটা অংকের টাকা। গোপন ‘মার্কা’ ছাড়া ফাইল জমা দিতে গেলেই পড়তে হচ্ছে বিড়ম্বনায়। ফিরে আসতে হচ্ছে বেশিরভাগ পাসপোর্ট গ্রহীতাকে।
সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের ‘মার্কা’ বাণিজ্য এখন ওপেন-সিক্রেট। পাসপোর্টের জন্য জমা দেয়া ৯০ শতাংশ ফাইলেই রয়েছে নির্দিষ্ট গোপন ‘মার্কা’। আর এমন অভিনব দুর্নীতির প্রমাণও মেলে নিউজ টোয়েন্টিফোরের টানা অনুসন্ধানে।
সিলেট পাসপোর্ট অফিসে প্রতিদিন ‘মার্কা’ দেয়া অন্তত সাড়ে চারশ ফাইল প্রতি গড়ে ১৫০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। সে হিসেবে মাসে হচ্ছে প্রায় দেড় কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন। আর এই মার্কা বাণিজ্যের সমন্বয়ক হিসেবে সামনে আসছে একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম।
আরও পড়ুন
ঢাকায় এসেছিলেন চাকরির খোঁজে, ফিরতে হল লাশ হয়ে
পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ইউনিটই উৎপাদনে সক্ষম
বেনাপোলের রেলপথে বাড়ছে পণ্য আমদানি
বিশ্বে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত কমেছে
তবে সকল অভিযোগ অস্বীকার করলেন সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক এ কে এম মাজহারুল ইসলাম।
এদিকে পাসপোর্ট অফিসের দুর্নীতি দমনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সিলেট অঞ্চলের ‘আটাব’ এর সাবেক সভাপতি আব্দুল জব্বার জলিল।
সকাল ৯টায় কাজ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দুর্ভোগ আর দুর্নীতিগ্রস্ত এক অফিসের নাম সিলেট পাসপোর্ট অফিস। তবে সরকারের হস্তক্ষেপে এ অফিসটি একদিন জনবান্ধব হয়ে ওঠবে এমন প্রত্যাশা ভুক্তভোগীদের।
news24bd.tv এসএম