গত মঙ্গল ও বুধবারের ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তাণ্ডবে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বিস্তীর্ণ জনপদ ও নদী তীরবর্তী এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। সেই সঙ্গে নদীভাঙনে উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের চরঘূণি এলাকা বড়াগৌরঙ্গ নদী তীরের হাতেম আলী ফকির বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান নদী ভাঙনের কবলে পড়ে। ইয়াসের প্রভাবে কবর ভেঙে প্রায় অর্ধশত বছর আগে দাফন করা একটি অক্ষত লাশ উদ্ধার নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে চাঞ্চল্য। লাশ দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে ভিড় জমিয়েছেন শত শত মানুষ।
উদ্ধার করার পর পুনরায় দাফনের আগে দোয়া মিলাদে অংশ নিতে বিভিন্ন উপজেলা থেকে ছুটে আসেন বহু মানুষ।
এ ঘটনার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায় অক্ষত লাশের ছবিটি।
দশমিনা কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা রেজাউল করিম জানান, ইমানি ব্যক্তি হলে তাদের একটি পশম পর্যন্ত মাটি খায় না। এরকম প্রমাণ আমরা আগে বহু দেখেছি। এ নিয়ে কোরআন হাদিসেও বলা আছে।
শনিবার (২৯ মে) সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে কথা হয় ওই বাড়ির রবিউল ইসলামের সাথে। তিনি জানান, লাশটি তাদের বাড়ির হাশেম ফকিরের। তার দাবি হাশেম ফকির ৪৫ থেকে ৪৬ বছর আগে মারা গিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, হাশেম ফকির তাদের বাড়ির হাতেম আলী ফকির চিশতিয়ার ভক্ত ও সম্পর্কে চাচাতো ভাই ছিলেন। অন্যদিকে ওই এলাকার ৯০ বছরের বৃদ্ধ মো. হাবিবুর রহমান (চন্দন মাস্টার) জানান, মরহুম আইন উদ্দিনের ছেলে হাশেম ফকির। হাশেম ফকির সত্তরের বন্যার পর মারা গেছেন। হাশেম ফকিরের বাবা আইন উদ্দিন ফকির সত্তরের বন্যার আগে মারা গেছেন। হাশেম ফকিরের দুই ছেলে খালেক ও বারেক। তবে অক্ষত লাশটি হাশেমের কিনা আমি জানি না। ওই অক্ষত লাশটি হাশেমের বাবা আইন উদ্দিনের কিনা সেটাও নিশ্চিত নয় বলে তিনি জানান। তার বক্তব্য অনুযায়ী অক্ষত লাশটির পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। হাশেম ফকিরের ছেলে মো. খালেক জানান, লাশটি তার বাবার। তিনি ১৯৭৫ সালের দিকে মারা গেছেন।
স্থানীয়রা জানান, জৈনপুরী পীর সাহেবের নির্দেশে অক্ষত লাশটির শরীরের কোনো অংশ খুলে না দেখে শুধু মিলাদ দিয়ে শনিবার সকালে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
news24bd.tv/আলী