ভারত থেকে আমদানি বন্ধ থাকলে ক্রমবর্ধমান চাহিদার বিপরীতে দেশে যেকোনো সময় ভয়াবহ অক্সিজেন সংকট দেখা দিতে পারে। এরইমধ্যে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দেশে অক্সিজেনের চাহিদা বেড়েছে ৮০ শতাংশ। ফলে সরবরাহ ঠিক রাখতে হিমশিম খাচ্ছে উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো।
স্বাস্থ্য অধিপ্তর বলছে, এই মুহূর্তে সংকট নেই।
দেশে করোনা রোগী বৃদ্ধির সাথে সাথে বাড়ছে অক্সিজেনের চাহিদাও। স্বাভাবিক সময়ে যেখানে অক্সিজেনের চাহিদা থাকে ১০০ থেকে ১২০ টন, সেখানে বর্তমানে চাহিদা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫০ থেকে ১৮০ টন।
মেডিকেল ও শিল্প মিলিয়ে দেশে মোট অক্সিজেন চাহিদা ২২০ থেকে ২৫০ টন। এর ৭৫ শতাংশই পূরণ করে লিন্ডে বাংলাদেশ। এর বাইরে স্পেকট্রা ও ইসলাম অক্সিজেন নামে দুটি প্রতিষ্ঠান অক্সিজেন উৎপাদন করে। বাকিটা আসে ভারত থেকে। কিন্তু সোমবার বেনাপোল স্থলবন্দরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২১ এপ্রিলের পর অক্সিজেনের নতুন কোন চালান আসেনি ভারত থেকে।
বেসরকারি হাসপাতাল মালিকরা বলছেন, বর্তমানে সংকট না থাকলেও রোগীর সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে তাতে সংকট তৈরির জোর সম্ভাবনা।
ক্রমবর্ধমান অক্সিজেন চাহিদার বিপরীতে সংকট তৈরির আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না খুচরা ব্যবসায়ীরা। ভারতে স্বাভাবিক সময়ে মোট অক্সিজেন সরবরাহের ৮৫ ভাগ শিল্প খাতে আর ১৫ ভাগ খরচ হতো স্বাস্থ্য খাতে।
কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশটিতে ৯০ শতাংশ অক্সিজেনই স্বাস্থ্য খাতে ব্যবহার করেও কূল কিনারা পাচ্ছেন না ডাক্তাররা। এমন বাস্তবতা মাথায় রেখেই সরকারের প্রস্তুতি নিতে হবে, বলছেন গণস্বাস্থ্যর ডা. জাফরুল্লাহ।
গোপালগঞ্জে প্রাইভেটকার-ট্রাক সংঘর্ষে যুবক নিহত
গীতিকবি ওসমান শওকত না ফেরার দেশে
রিকশা ও নৌকা সবচেয়ে কোভিড সেইফ যানবাহন!
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, এখনই এমন আশঙ্কা না থাকলেও ভবিষ্যতের কথা ভেবে শিল্পখাতের অক্সিজেন স্বাস্থ্য খাতে ব্যবহারের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
বিকল্প উৎস হিসেবে আরো তিনটি অক্সিজেন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করছে সরকার। তবে সবকিছুর উর্ধ্বে প্রাপ্ত অক্সিজেনের সুষম বণ্টনের উপরই জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
news24bd.tv নাজিম