লকডাউনের কোন প্রভাব নেই রাজধানীতে। প্রথম ধাপের লকডাউনের শেষদিনে সড়কে ১০ গুণ যানবাহন বেড়েছে বলে জানান পুলিশ। বাস না চলায় ট্রাক, কারে নির্বিঘ্নে ঢাকায় আসা-যা্ওয়া করতে পারছে মানুষ। অপ্রয়োজনীয় পরিবহন আর মানুষ নিয়ন্ত্রণে সড়কে নেই প্রশাসনের কড়াকড়ি।
লকডাউনের অষ্টম দিনে স্বাভাবিক দিনের ব্যস্ততা বিজয় স্মরণীতে।
রাস্তায় বের হ্ওয়া বেশিরভাগ মানুষ বেসরকারী অফিসের কর্মজীবি। জীবন আর জীবিকার তাগিদে সব আতঙ্ক আর উৎকন্ঠা মাড়িয়ে তাদের বের হতে হয়েছে সড়কে। জীবন যাদের আরো কঠিন নিম্ন আয়ের সেসব মানুষের পুলিশের মামলা পরোয়া না করেই সিএনজি, রিকশা কিংবা মটরসাইকেল নিয়ে যাত্রী পরিবহন করছেন দেদারছে।
ঢিলেঢালা লকডাউনে বাস ছাড়া সড়কে চলছে সব পরিবহন। এ সুযোগে পিকআপ আর ভাড়াই চালিত কারে ঢাকায় আসছেন কিংবা জেলা সদরে যাচ্ছেন বহু মানুষ।
রাস্তায় অতিরিক্ত যানবাহন নিয়ন্ত্রণে আগের মতো নেই প্রশাসনের কড়াকড়ি। কয়েকটি সড়কে পুলিশের তল্লাশী চৌকি থাকলেও তা ছিলো রুটিন মাফিক। মটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহন করায় এসময় কয়েকজনকে জরিমানা করা হয়।
এদিকে, নানা উদ্যোগের পরও দেশের বিভিন্ন স্থানে লকডাউনে মানুষকে ঘরবন্দী রাখতে পুলিশ। কাজের সন্ধানে ছুটে চলা মানুষগুলোকে আটকাতে পারছে না কোনো বাধা। প্রধান সড়কগুলোতে পুলিশের শক্ত অবস্থান থাকলেও গলিপথে চলছে গণপরিবহন ছাড়া সবই। হাটবাজারে নেই সর্বাত্মক লকডাউনের কোনও চিত্র। দেদারছে চলছে বেচা-বিক্রি।