বাল্যবিয়ে, কুড়িগ্রামে ঝড়ে পড়ল ৭ কিশোরী ফুটবলার

Other

করোনা সংকটে বাল্যবিয়ের শিকার হয়ে ঝড়ে পড়ল ৭ ক্ষুদে কিশোরী ফুটবলার। এক বছর ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ও অব্যাহত আর্থিক সংকটে এসব কিশোরীর বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে পরিবারগুলো।  

স্থানীয়রা বলছেন, সীমান্তের প্রত্যন্ত এলাকায় স্বাভাবিক সময়েই কাজ কম থাকে। করোনায় বেশিরভাগ মানুষ এখন কর্মহীন।

এজন্য মেয়েদের বিয়ে দিয়ে খরচ কমাতে চাইছেন অনেকে। প্রত্যন্ত এলাকায় প্রশাসনের নজরদারিও কম বলে অভিযোগ রয়েছে।  

বঙ্গমাতা প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ প্রতিযোগিতার ২০১৭ সালের আসরে হ্যাটট্রিক করে দেশ সেরা ক্ষুদে খেলোয়াড় হয়েছিলেন কুড়িগ্রামের স্মরলিকা পারভীন। পুরস্কার নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে।

গণমাধ্যম সেসময় তাকে স্বপ্ন জাগানিয়া কিশোরী হিসেবে আখ্যায়িত করে। তবে এসব এখন অতীত।  


কওমি মাদরাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

গণপরিবহনে আবারো যাত্রী অর্ধেক করার নির্দেশ

করোনা আক্রান্ত হয়ে ৪৫ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৫১৮১ জন

স্নাতক পাস চাকরি দিচ্ছে ব্র্যাক


ভালো একজন ফুটবলারের সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেছে কুড়িগ্রামের ভারত সীমান্ত ঘেষা উপজেলা ভুরুঙ্গামারীর এক গ্রামে। স্বরলিকা এখন অন্য ঘরের গৃহবধূ। কুড়িগ্রামে তার দলের আরো ৬ জন কিশোরীরও একই পরিণতি।  

স্বজনরা বলছেন, সীমান্ত এলাকায় তেমন কাজ নেই। এর ওপর করোনা সংকটে আর্থিক অনটনও বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। বাধ্য হয়েছেন মেয়েদের বিয়ে দিতে।

ক্ষুদে খেলোয়াড়রা বলছেন, করোনাকালে সরকারি কিংবা বেসরকারি-কোনভাবেই পরিবারগুলোর খোঁজ রাখা হয়নি। একই কারণে অনেক পরিবার এখন মেয়েদের বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ ব্যাপারে আগে থেকে খবর পাননি বলে জানান। করোনা সংকটের সময় কুড়িগ্রামে ২০২০ সালের আগস্টে শুধু এক মাসেই বাল্য বিয়ে হয় ৪৭টি।  

news24bd.tv নাজিম