মাত্র দশ মিনিট, এর মধ্যেই বর্বর পাকিস্তানী সেনাবাহিনী এয়ারফোর্সের একটি বাসে উঠিয়ে নেয় ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশি সাংবাদিকদের। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে পাঠিয়ে দেয় তেজগাঁ বিমান বন্দরে।
বাংলাদেশের বুকে গণহত্যায় নামে পাকিস্তান, শুরু হয় ‘অপারেশন সার্চ লাইট’। সবাই গেলেও হোটেলেই লুকালেন সাইমন ড্রিং, অ্যান্থনিও ম্যাসক্যারেনহাস।
২৫শে মার্চ কারফিউ জারীর আগেই ‘হোটেলের বাইরে যাওয়া যাবে না’ এই মর্মে - নোটিশটি ঝোলানো হয় ইন্টারকন্টিনেন্টালে। বিবিসি’র মাইকেল ক্লেইটনের মতো আরো দু একজনও এরপরও পরিস্থিতি দেখতে বের হতে গিয়েছিলেন। বাইরে তখন পাকিস্তানি ট্যাঙ্কের নল সরাসরি হোটেলের দিকেই তাক করা।
ঢাকা ছেড়ে যান ইয়াহিয়া আর ভুট্টো। হোটেলের সবচেয়ে উপরের তলায় উঠে যান মওদুদ আহমদ। তেজগাঁর দিক থেকে তখন শাহবাগের দিকে এগোচ্ছে সারি সারি ট্যাঙ্ক।
আরও পড়ুন:
ঢাকা বিএনপি: ব্যর্থতার কারণ সাংগঠনিক দুর্বলতা
পৌর নির্বাচনে বিদ্রোহীদের জন্য আসছে কঠোর শাস্তি
পরীক্ষার নামে ডাকাতি করছে বেসরকারি হাসপাতাল
ইরানবিরোধী থেকে সরে দাঁড়াল ইউরোপ, ইরান আসছেন গ্রোসি
স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি করে শুরু হয় প্রবাসী সরকার। নি:স্বার্থভাবে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনে পথে পথে মাঠেঘাটে ছুটতে থাকেন তাজউদ্দিন আহমেদ।
বলছিলেন, ন্যায়সঙ্গত অধিকারের দাবি বাংলাদেশকে ঐক্যবদ্ধ করে ছিল। আর কখোনও অমন করে এক হতে পারবে কি না বাংলাদেশ- এনিয়ে সংশয় যেমন, অভিমানও সমান, মওদুদ আহমদের।
স্বাধীন দেশের মানুষের জন্য গণতন্ত্র আর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার যুদ্ধটিও দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে বলেও আক্ষেপ এই মুক্তিযোদ্ধার।
news24bd.tv আহমেদ