কাঠের আসবাব বাড়ির অন্দরের চেহারাই বদলে দেয়। ঘরে আনে আভিজাত্যের ছোঁয়া। তাই ঘর সাজাতে কম-বেশি সবারই কাঠের আসবাবের প্রতিই ঝোঁক থাকে। আগের দিনে আসবাব বলতেই কাঠের জিনিস।
>> কি করবেন :
কাঠের আসবাবে অন্যতম ডাইনিং টেবিল। টেবিল প্রতিদিন পরিস্কার রাখুন যেন ধুলো না জমে। টেবিলের পায়াও মুছে রাখা জরুরী। কাঠের আসবাবে গরম কিছু রাখবেন না। এতে কাঠে দাগ পড়ে যায়। এক্ষেত্রে সব সময় টেবিল ম্যাট বা কোস্টার ব্যবহার করুন। টেবিলে হিট স্টেন থাকলে ব্যবহার করুন সামান্য টুথপেষ্ট ও বেকিং সোডা। মিশ্রণটি স্টেনের উপর হালকা ঘষে লাগিয়ে কিছুক্ষন পর তুলে ফেলুন। কয়েকবার মিশ্রণটি ব্যবহারে সাদা ভাব কমে যাবে। এছাড়া টেবিলের দাগ বা স্পট তুলতে নরম কাপড়ে লেবুর রস দিয়ে ঘষে নিন। কিছুক্ষন পর পানি দিয়ে জায়গাটা মুছে নিলেই দাগ উঠে যাবে। কাঠের আসবাবের উজ্জলতা ফিরিয়ে আনতে হোমমেড পলিশ ব্যবহার করতে পারেন। মাসে একবার কাঠ মুছলেই উজ্জল দেখাবে।
অলিভ অয়েল ও লেবুর রস মিশিয়ে আসবাব মুছে নিতে পারেন, উজ্জল দেখাবে। তাছাড়া কাঠের ওপর সরাসরি পানির গ্লাস রাখবেন না। উপযুক্ত কোস্টারের ওপর পানির গ্লাস রাখুন। না হলে পানিতে কাঠ নষ্ট হয়ে যায়। বেসমেন্ট, গ্যারেজ বা চিলেকোঠায় ফার্নিচার রাখবেন না। কারণ অতিরিক্ত ঠান্ডা, গরম জায়গায় কাঠ নষ্ট হতে পারে। কাঠের আসবাব পরিস্কার করার সময় অবশ্যই হাতে রাবার গ্লাভস ব্যবহার করুন। ব্যবহারের পর গরম পানি দিয়ে ধুয়ে তা সংরক্ষণ করুন।
যে কোন কাঠের আসবাবের প্রধান শত্রু ঘুণ পোকা। কাঠের আলমারি বা সোফাতে কিংবা যে কোন আসবাবে পোকা ধরেছে দেখলে পোকা মারার স্প্রে ব্যবহার করুন। আলমারি কিংবা আসবাবে ন্যাপথলিন, কর্পূর রেখে দিন। এছাড়া মাসে একবার এক কাপ নারিকেল তেলের সঙ্গে কর্পূর মিশিয়ে ফার্নিচারের কোনায় দিয়ে রাখুন। এতে সমস্যার ভালো ফল পাবেন। যদি এতেও সমস্যার সমাধান না হয় তবে, পুরোনো খবরের কাগজ পেতে ভালো করে ডাস্টিং করে নিন। অন্যথায় ক্ষতিগ্রস্ত অংশটুকু কেটে নতুন কাঠ লাগিয়ে নিতে পারেন।
বাড়ির পুরোনো কাঠের আলমারি খুলতে সমস্যা হলে চারপাশে মোম লাগিয়ে নিন। সৌখিন ফার্নিচার যেন সরাসরি রোদে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। কারন, কড়া রোদ পড়ে এমন জায়গায় কাঠের আসবাব রাখলে জিনিস ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এছাড়া ঝড়-বৃষ্টিতেও কাঠের আসবাবপত্রের ক্ষতি হয়। তাই বারান্দা বা লনে কাঠের চেয়ার-টেবিল ব্যবহার না করাই ভালো। কাঠের আসবাব এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরানোর সময় খেয়াল রাখুন ফার্নিচারের জয়েন্ট পয়েন্টগুলো যেন ভাঙা না থাকে। আসবাব সরানোর সময় শক্ত জায়গাটা ধরবেন। কাঠের আসবাব নাড়াচাড়া করার ক্ষেত্রে পাপোস ব্যবহার করুন। কাঠের মেঝেতে ভারি কিছু জোরে টানবেন না বা হাই হিল পড়ে হাটবেন না। এতে ফ্লোরে স্ক্যাচ পড়তে পারে। বাড়িতে পোষা কুকুর বা বেড়াল থাকলে ওদের নখের স্ক্যাচ যেন না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখুন। কাঠের ফ্লোরের স্ক্যাচ তুলতে পানিতে বেকিং সোডা মিশিয়ে একটি নরম কাপড় দিয়ে শুকনো করে মুছে নিন। তাছাড়া সিগারেটের ছাই পড়ে দাগ হলে স্ক্যাচ কনসিলিং পলিশ ব্যবহার করুন। বাঁশের ফার্নিচারে লবন পানি দিয়ে মুছলে আরও চকচকে দেখাবে।