বাসের ড্রাইভার, মালিক, সুপারভাইজার হেলপার এবং যাত্রীসাধারণের সচেতনতার জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১ নভেম্বর) বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পায়েল হত্যা মামলার রায় ঘোষণার সময় ঢাকা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান পর্যবেক্ষণে এ নির্দেশনা দেন।
এ সময় বিচারক বলেন, এইরকম অনেক পায়েল মারা যাচ্ছে যাদের কথা আমরা জানতে পারছি না। সড়ক দুর্ঘটনা দিন দিন হত্যা পর্যায়ে চলে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভোল প্লাটালেন ম্যাঁক্রো, বললেন মহানবীর কার্টুন আঁকাকে সমর্থন করি না
সড়কে প্রতিদিন এত মানুষের মৃত্যু নিছক দুর্ঘটনা নাকি হত্যা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সর্বসাধারণের মনে। কিছু অদক্ষ অসচেতন গাড়ি চালকদের জন্য সড়কে মৃত্যু বাড়ছে।
আরও পড়ুন: বোকারাই স্ত্রীকে সবকিছু বলে না: ইমরান খান
আদালত রায়ের পর্যবেক্ষণ শেষে বাস ড্রাইভার, মালিক, সুপারভাইজার হেলপার এবং যাত্রীসাধারণকে সচেতনতার জন্য দেওয়া নির্দেশনাগুলো হলো:
১. গাড়ির চালক, সুপারভাইজার, হেলপারদের দায়িত্ব দেওয়ার আগে তারা মাদক সেবন করেছে কিনা সে বিষয়ে ডোপ টেস্ট করতে হবে। গাড়ি ছাড়ার কাউন্টারে, পথিমধ্যে রাস্তায়, বিরতি ও গন্তব্য স্থানে গাড়ির চালক ও হেলপারকে ডোপ টেস্ট করতে হবে।
আরও পড়ুন: মানিব্যাগে প্রেমিকার ছবি, প্রতিবাদ করায় স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা
২. গাড়ির চালক, সুপারভাইজার ও হেলপাররা প্রায়ই যাত্রীদের সঙ্গে কর্কশ ও অভদ্র আচরণ করেন। তাদের অবশ্যই যাত্রীদের সঙ্গে নম্র ও ভদ্র আচরণ করতে হবে। গাড়ির চালক, সুপারভাইজার ও হেলপারদের গাড়ি চালানোর বিষয় এবং যাত্রীদের সঙ্গে আচরণের বিষয়ে উচ্চতর ট্রেনিং বা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
৩. মহাসড়কে প্রতি তিন কিলোমিটার পরপর গাড়ির চালক, সুপারভাইজার, হেলপার ও যাত্রীসাধারণের ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফ্রি আধুনিক বাথরুম-টয়লেট স্থাপন করতে হবে। তবে এজন্য সড়ক বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে বাস মালিকদের নির্ধারিত হারে বার্ষিক চাঁদা দিতে হবে সরকারকে।
৪. মহাসড়কে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে যানবাহন চলাচলের উপর মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।
news24bd.tv নাজিম