তিন বন্ধুর একজন পুলিশ সার্জেন্ট, একজন বিপনন কর্মকর্তা আর অন্যজন নার্সারির মালিক। ছোট থেকেই তাদের ছিলো গাছের প্রতি ভালবাসা। যা পরবর্তীতে রূপ নেয় ক্যকটাস সংগ্রহে। শখের বশে শুরু করা ছাদ বাগানে এখন তাদের সংগ্রহে দাঁড়িয়েছে সাড়ে তিন’শ প্রজাতির ক্যাকটাস।
ছোট বেলা থেকেই ছিল গাছের প্রতি ভালোবাসা, সেই ভালোবাসা থেকেই শুরু হয় ক্যাকটাস সংগ্রহ। তবে ভাড়া বাসার ছাদে ক্যাকটাস চাষের অনুমতি না পাওয়ায় বিপাকে পড়েন পুলিশ সার্জেন্ট তৌহিদুল ইসলাম।
২০১৮ সালে পরিচয় হয় ক্যাকটাস সংগ্রহক বিপনন কর্মকর্তা বিভূতি ভূষণ ও নার্সারির মালিক ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে। পরে তিনজনে একটি ছাদ ভাড়া নিয়ে গড়েন শখের ক্যাকটাস বাগান।
বীজ উৎপাদন, সেখান থেকে নতুন প্রজাতির ক্যাকটাস উদ্ভাবন। সেই সঙ্গে ক্যাকটাসের জন্য পলিথিনের সেড নির্মাণ, গাছের কাঁটা পর্যবেক্ষণ, মাটি পরিবর্তন-সবই করেন তারা নিজেই। তবে প্রথমদিকে এই মরু উদ্ভিদকে বসে আনতে বেগ পেতে হয়েছে। পরবর্তীতে ভারতীয় এক সংগ্রহকের পরামর্শে আসে সফলতা।
আগামীতে ক্যাকটাসের এই সংগ্রহশালাটি দুই হাজার প্রজাতিতে উন্নিত করার কথা ভাবছেন সংগ্রহকরা। সেই সঙ্গে এটিকে বাণিজ্যিকভাবে সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি ক্যাকটাস পার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনাও আছে তাদের।
নিউজ টোয়েন্টিফোর / সুরুজ আহমেদ