সিংহের মল বিক্রি করে আয়

সিংহের মল বিক্রি করে আয়

অনলাইন ডেস্ক

করোনার কারণে সার্কাস বন্ধ। ফলে আয়ও নেই। আর তাই কৌটো ভরে সিংহের মল বিক্রি শুরু করেছে সার্কাস কর্তৃপক্ষ। এমন ঘটনা ঘটেছে মিউনিখে।

বিশ্বের অন্যতম বড় সার্কাস প্রতিষ্ঠানের নাম সার্কাস ক্রোন। কোম্পানির বয়স এখন ১১৫ বছর। বিশ্বের অন্যতম বড় এই সার্কাসটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কার্ল ক্রোন নামের এক ব্যক্তি৷ তখন নাম ছিল সার্কাস চার্লস৷ পরে প্রতিষ্ঠাতাকে স্মরণ করে নাম রাখা হয় সার্কাস ক্রোন৷
 
২৬টির মতো সিংহ আছে এই সার্কাসে৷ তিনটি বাঘও আছে, যার মধ্যে দুটি সাদা বাঘ৷ এছাড়া হাতি, জলহস্তি, শূকরমুখো বানরসহ অন্তত ১০০ ধরনের প্রাণী আছে এই সার্কাসে৷
 
করোনা সংকট শুরুর আগে অসংখ্য দর্শনার্থী ‘কিং টোঙ্গা’ নামের এই সাদা সিংহকে দেখতে যেতেন৷ সঙ্গে তার দুই বান্ধবী ‘প্রিন্সেস’ এবং ‘ডায়মন্ড’ আর সেই সঙ্গে এক ছেলে এবং এক মেয়ে মিলিয়ে টোঙ্গার পুরো পরিবারই দেখে নিতেন তারা৷
 
করোনার কারণে সার্কাস ক্রোন এখন বন্ধ৷ কোনো আয় নেই৷ তাই কৌটো ভরে ভরে সিংহের মল বিক্রি শুরু করেছে সার্কাস ক্রোন কর্তৃপক্ষ৷
 
সিংহের মল বেশ চড়া দাম৷ দাম দিয়ে এই বস্তু কেনায় আগ্রহী মানুষেরও অভাব নেই৷ পাঁচ ইউরো দিয়ে সিংহের এক বয়াম মল কিনে খুশিমনে বাড়ি যাচ্ছেন অনেকেই৷
 
মল বিক্রির টাকার একটা অংশ ব্যয় করা হয় বন্দি প্রাণীদের জীবনমান উন্নয়নের কাজে৷ যারা কেনেন, তাদেরও খুব কাজে লাগে কৌটোভর্তি মল৷ পাহাড়ি এলাকার অনেক মানুষ বাড়িতে গিয়েই কৌটো খুলে একটু মল নিজের বাগানে ছড়িয়ে দেন৷ পাহাড় থেকে কোনো বন্য প্রাণী এলে সেই মলের গন্ধ পেয়ে মনে করে, সিংহ আসছে৷ ছুটে পালাতে আর দেরি করে না তারা! 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/নাজিম

এই রকম আরও টপিক