৩ কিশোর হত্যা: বেড়িয়ে আসছে কর্মকর্তাদের নানা অপকর্ম

৩ কিশোর হত্যা: বেড়িয়ে আসছে কর্মকর্তাদের নানা অপকর্ম

যশোর প্রতিনিধি

যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে তিন কিশোর নিহতের পর বেরিয়ে আসছে কর্মকর্তাদের নানা অপকর্মের ফিরিস্তি। গেল বছর টাকার বিনিময়ে এক কিশোরকে খুন করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সদ্য বরখাস্ত সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মাসুদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে, নিহতের বাবা একটি হত্যা মামলাও করেছেন। বিচারহীনতার সংস্কৃতিই কর্মকর্তাদের বেপরোয়া করে তুলেছিলো বলে মনে করেন মানবাধিকার কর্মীরা।

গাইবান্ধা সদর থানায় হওয়া চুরির মামলায় ২০১৯ সালের ১২ মে গ্রেফতার হয় কিশোর নুর ইসলাম। পরে, গাইবান্ধা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট তাকে জামিন না দিয়ে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠান।

১৯ জুন রাতে পরিবারের কাছে খবর আসে নুর ইসলাম অসুস্থ। ওই রাতেই মৃত্যু হয় তার।

সে সময় কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ জানায়, আত্মহত্যা করেছে নুর। যদিও নূরের পিতার দাবি, টাকার বিনিময়ে নূরকে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল মাসুদ।  

তিন কিশোর নিহতের ঘটনায় কেন্দ্রের সম্পৃততার অভিযোগ উঠার পর থেকে বেরিয়ে আসছে কর্মকর্তাদের একের পর এক নানা অপকর্ম। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতি এসব অপরাধীদের প্রশ্রয় দিয়েছে।

সব বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানান সমাজ সেবা অধিদপ্তরের পরিচালক ও তদন্ত কমিটির প্রধান সৈয়দ মো: নূরুল বশির। এর আগে গত বৃহস্পতিবার কর্মকর্তদের পৈচাশিক নির্যাতনে মারা যায় বন্দিথাকা তিন কিশোর।

নিউজ টোয়েন্টিফোর / সুরুজ আহমেদ