টাঙ্গাইলের সখিপুরে নিজ এলাকায় করোনাভাইরাস মোকাবেলায় লকডাউন সম্পর্কে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে পুলিশের মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন আব্দুল করিম নামের এক ছাত্র ইউনিয়ন নেতা।
তিনি বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক।
অভিযোগে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার কচুয়া বাজারে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম চালানোর সময় পুলিশ সদস্যরা আব্দুল করিমকে কিল-ঘুষি দেয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত ভুক্তভোগী আব্দুল করিমকে অর্থদণ্ডও দেয়।
এক বিবৃতিতে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের একজন ছাত্রনেতা যদি জনগণকে সচেতন করার দায়ে নির্যাতিত হতে পারেন তাহলে সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন কী মাত্রা ধারণ করেছে তা সহজেই অনুমেয়। আমরা এই পরিস্থিতির অবসান চাই।
নিরাপত্তা বাহিনীর নিরঙ্কুশ ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।
এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে শুক্রবার কচুয়া বাজারে মানববন্ধন করে এলাকাবাসী। তারা নির্যাতনকারী পুলিশ সদস্যদের বিচার দাবি করেন।
সেখানে উপস্থিত থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হা-মীম তাবাসসুম প্রভা বলেন, বাজারের একপাশে জটলার মতো দেখে আমি এগিয়ে যাই। গিয়ে দেখি ওই ছেলে পুলিশের সঙ্গে তর্ক করছে।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এমন কোনও পরিচয় তখন দেননি। মানুষকে সচেতন করছে এমন প্রমাণও তিনি দেখাতে পারেননি। তাই তাকে অর্থদণ্ড করা হয়েছিল। তবে তাকে মারধরের বিষয়টি আমি জানি না।
নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল