নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে মাত্র ২৪৪ রান করেও দারুন এক প্রতিরোধ গরে তুলেছিল বাংলাদেশ। অবশ্য শ্বাসরুদ্ধকর এ ম্যাচে হেরে গেল বাংলাদেশ। স্বল্প পুঁজি নিয়েও দুর্দান্ত লড়াই করেছেন সাইফউদ্দিন-মোসাদ্দেক-সাকিব-মিরাজরা। ইনিংসের শেষ দিকে টাইগার বোলারদের নৈপুণ্যে পরাজয়ের দুয়ারে থেকেও ম্যাচে ফিরে বাংলাদেশ।
কিন্তু দুর্ভাগ্য, ভালো খেলেও পরাজয়ের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় মাশরাফিদের।
বুধবার প্রথমে ব্যাট করে ৪৯.২ ওভারে ২৪৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৭ বল হাতে রেখে ২ উইকেটের জয় পায় নিউজিল্যান্ড।
৮২ রান করা রস টেলরের সঙ্গে কেন উইলিয়ামসনের ১০৫ রানের জুটি সবচেয়ে বড় বাধা হয়েছিল বাংলাদেশের জন্য।
তখনও জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিল ২৭ রান, হাতে ছিল ৩ উইকেট। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি বাংলাদেশের। বোলাররা তাদের সেরাটা দিলেও বিশ্বকাপে চরম উত্তেজনাকর ম্যাচটি হার দিয়ে শেষ করতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
বোলিংয়ে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন সাকিব আল হাসান। এই স্পিনার ১০ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে পেয়েছেন ২ উইকেট। তার মতো ২ উইকেট করে শিকার মেহেদী হাসান মিরাজ, মোসাদ্দেক হোসেন ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৮.৩ ওভারে ৪৫ রানের জুটি গড়েন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। দুর্দান্ত ব্যাটিং করে যাওয়া সৌম্য ২৫ বলে ২৫ রান করতেই ম্যাট হেনরির গতির বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন।
এরপর ১৫ রানের ব্যবধানে ফেরেন তামিম ইকবাল। লুকি ফার্গুনসনের বলে বাজে শট খেলে আউট হন তামিম। তার আগে ৩৮ বলে মাত্র ২৩ রান করেন দেশ সেরা এ ওপেনার। দলীয় ৬০ রানে ২ ওপেনারকে হারিয়ে প্রাথমিক বিপর্যয়ে পরে বাংলাদেশ।
এরপর সাকিব-মুশফিকের তৃতীয় উইকেট জুটিতে ভালোভাবেই ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা। এই জুটিতে তারা ৫০ রান যোগ করেন। দলীয় ১১০ রানে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন মুশফিকুর রহিম।
এর আগের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই জুটিই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১৪২ রান করেছিল। বুধবার রান আউট হওয়ার আগে ৩৫ বলে ১৯ রান করেন মুশফিক। তার বিদায়ের পরও দুর্দান্ত ব্যাটিং করে যান সাকিব।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)