ভারতীয় কালচারাল উইং যেভাবে কাজ করে বাংলাদেশে 

জিয়া হাসান

মত-ভিন্নমত

ভারতীয় কালচারাল উইং যেভাবে কাজ করে বাংলাদেশে 

জিয়া হাসান

ঘটনাটা ২০১৭ বা ২০১৮ এর। আমি তখন ফ্ল্যামেঙ্কো গিটার শিখতেছি।
মনে হইলো যে, ফ্ল্যামেঙ্কোর "রাসগায়েস" টেকনিকটার সাথে আবৃত্তির চমৎকার একটা কম্বিনেশান হতে পারে। কল দিলাম আমার ছোট কালের বন্ধুকে - যে একটা আবৃত্তি সংগঠনের সিনিয়ার আবৃত্তিকার।

(নাকি বন্ধু নিজেই কল দিল, খেয়াল নাই)।  
তো বন্ধু বললো , আমাদের সামনে একটা প্রোগ্রাম আছে, একটা কবিতায় গিটারের পার্ট লাগবে। তুই গিটার নিয়ে রিহারসালে চলে আয়।
আমি গেলাম।
 
বেশ পশ রেসিডেন্সিয়াল এলাকায় বিশাল বড় একটা ফ্লোর ।  
এইটা তাদের নিজস্ব ফ্লোর। আমি খুব ইম্প্রেসড হলাম। কারন, আমি জানি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান গুলোর দিন আনতে পান্তা ফুরায়, কিন্ত, একটা আবৃত্তি সংস্থা এতো বড় একটা ফ্লোর এফরড করতে পারতেছে- এইটা আমার খুব ভালো লাগছে।  
কবিতা যেইটায় তাদের গিটারের পার্ট লাগবে, সেইটায় আমাকে ফ্রি স্টাইল বাজাতে বললো। সাউন্ডস গুড। আমিও খুশি ওরাও খুশি।
চারিদিকে সংস্কৃতি মনা মানুষ, সবাই প্রমিত বাংলায় কথা বলে। খুব চমৎকার।  
আমি দুই তিন দিন প্র্যাক্টিসে গেলাম। কিন্ত কয়েকদিন প্র্যাক্টিসে যেতেই একটা জিনিষ খটকা লাগলো।  
যেই সময়ে টার ঘটনা ঠিক সেই সময়ে বাংলাদেশে অনেক গুলো বিভিন্ন লেভেলে আন্দোলন চলতেছে, গন মানুষের উপরে বিভিন্ন মুখি নির্যাতনের প্রতিবাদে। (কোটা আন্দলন, নিরাপদ সড়ক ইত্যাদি ইত্যাদির সম সাময়িক ঘটনা।  
কিন্ত, এতো নামি আবৃত্তি সংস্থা এই ২০১৭-১৮ সালের এই ক্রিটিকাল টাইমে এসেও যত গুলো কবিতা প্র্যাক্টিস করতেছে, দলে দলে ছোট বাচ্চা থেকে বুড়োরা সুর করে করে, প্রতিবাদের ভাষায়, গণসংগীতের ভাষায় সব গুলোর কথা একই।  
"মৌলবাদ ঠেকাবো, 
সাম্প্রদায়িকতা ঠেকাবো, 
যুদ্ধাপরাধের বিচার হোক, 
ঘাতক দালালদের এই বাংলায় ঠাই নাই।  
স্বাধীনতার চেতনা গড়বো অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ"- ইত্যাদি ইত্যাদি।  
তাদের একটা কবিতাতেও মানুষের কথা নাই, বর্তমান সময়ের কোন স্ট্রাগল নাই। কোটা আন্দোলনের কথা নাই। নিরাপদ সড়কের কথা নাই।  
আমার বন্ধুর আবৃত্তি প্রতিষ্ঠানটা বেশ বড় এবং নামকড়া প্রতিষ্ঠান। তাদের সকাল বিকাল জমজমাট প্র্যাক্টিসে বোঝা যাচ্ছে এদের সদস্য প্রচুর এবং এরা সবাই কালচারালি সিগ্নিফিকেন্ট লোক। সোসাইটিতে বয়ানের উপরে কর্তৃত্ব রাখে।  
তবুও, এইটা নিয়ে বেশি ভাবি নাই। কারন, বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মাইন্ডসেটই এই রকম তারা দেশের মানুষের রিয়ালিটির বাহিরে, একটা সুনিরিদস্টি বয়ান নিয়ে চলে- এইটা নতুন কিছু না।  
কিন্ত ঘাপলাটা লাগলো প্রোগ্রামের দিন।  
আমি গিটার টিটার নিয়ে গ্যাছি বিকালে শিল্প কলায়।  
বিশাল বড় প্রোগ্রাম, অনেক বড় ব্যানার লাগানো হয়েছে।  
আমি দেখলাম, প্রোগ্রামের মুল স্পন্সরের মধ্যে একটা হচ্ছে, ভারতীয় দুতাবাস। ভারতীয় হাই কমিশনার এই প্রোগ্রামের একজন গেস্ট, যার নাম ব্যানারে বড় করে টাঙ্গায় দেওয়া হয়েছে।
এইটা আমার কাছে অশ্লীল লাগলো।  
কজ, সাম্প্রদায়িকতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাংলাদেশে যে পলিটিকাল উইপন এইটা সবাই জানে। এই উইপন একজন সাংস্কৃতিক কর্মী নিজের রাজনৈতিক চেতনায় ব্যবহার করতে পারে, তাতে কোন আপত্তি নাই। কিন্ত সেইটা কোন মতেই ভারতীয় দুতাবাসের অর্থায়নে হতে পারেনা।  
প্রোগ্রামের চিফ গ্যেস্ট ছিলেন, আসাদুজ্জামান নুর এবং বাংলাদেশ সম্মিলিত আবৃত্তি পরিষদ বা সাম্থিং সাম্থিং।  
তো এইটা আমার জন্যে রেড ফ্ল্যাগ।  
কারন, এই লোক গুলোর সাথে সাক্ষাত আমি সরাসরি এভয়েড করি। এবং এদের কোন ধরনের প্য্যট্রনাইজিং নেওয়া আমার জন্যে কঠিন।  
সামির আমিনের একটা কথা আছে, ফ্যাসিজম সমাজের আস্টে পৃষ্টে ঢুকে পরে। এর থেকে বেচে থাকার এক মাত্র উপায় তার সাথে ট্রাঞ্জেকশানে না যাওয়া।  
আমি অক্ষরে অক্ষরে এইটা মেনে চলি, ফ্যাসিস্টের সাথে ট্রাঞ্জেকশানে যাই না।
 
আমি আমার বন্ধুকে বললাম, বন্ধু, আমি তো এই প্রোগ্রামের স্টেজে যেতে পারবো না, আমার টেকনিকাল সমস্যা আছে । সে আমার অনেক ছোট কালের বন্ধু আমার অস্বস্তি টা বুঝলো। বললো কোন সমস্যা নাই, 
"তুই না যা, আমি ম্যানেজ করে নিবো"।  
তবুও আমি পেছন থেকে পুরো প্রোগ্রামটা দেখলাম।  
আমার সাথে আরেকজন ন্যাংটা কালের বন্ধু ছিল। সেও সাংস্কৃতিক কর্মী।  এপলিটিকাল মানুষ। তার কোন পলিটিকাল বায়াস নাই। (এই বন্ধুটা মহানগর খ্যাত জনপ্রিয় অভিনয় শিল্পী নাসিরুদ্দিন খান। এই স্ট্যাটাসের প্রথম প্রকাশের কালে নিরাপত্তার নাসিরের নাম কারণে বলতে পারিনি। ) 
তো আমি আমার দোস্ত যখন বিড়ি খাইতেছি, তখন তাকে আমি জিজ্ঞেস করলাম, দোস্ত বিষয়টা কি ? 
সে বললো, দোস্ত এই গুলো সব ইন্ডিয়ার পেইড।  
আমাকে সেই আবৃত্তি সংস্থার মালিক সহ বেশ কয়েক জনকে ইন্ডিকেট করে বললো, এদের প্রচুর আয় কিন্ত কোন ইঙ্কাম সোর্স নাই।  
আমি বললাম কি বলস, সে বলল, সবাই জানে।  
ঠিক এই পারস্পেক্টিভে আর একটা গল্প বলি। বাই দা ওয়ে, আমি অনেকের নামে অনেক কিছু শুনি। ফোর একজাম্পল, আমার এক বন্ধু এক জন বেশ সুপরিচিত অন লাইএন প্রভাবশালি বামপন্থি এক নেতার নাম নিয়ে বললো, ভারতের কোন এক পারটিতে তার সাথে দেখা হইছে, সেই খানেও র এজেন্ট ছিল। তাকে কি কি অফার দিছিল।
আমি এই গুলো কখনো রেফার করি না। কজ এইটা সেকেন্ড হ্যান্ডে শোনা। এবং আমি এই তথ্য ভেরফিয়া করতে পারবো না।  
ফলে ,আমি শুধু সেইটাই বল্যব যেটা আমি ভেরিফাই করতে পারবো। যদিও, অনেক ক্ষেত্রে , প্রাইভেসি মেন্টেনের জন্যে নাম উল্লেখ করতে পারবো না।
আমাকে চট্টগ্রামের একজন পত্রিকার সম্পাদক কথায় কথা বলছিলেন, , তার শহরের ২৫% সাংবাদিককে ভারতীয় এম্ব্যাসি রেগুলার পেমেন্ট করে।  
এইটা একদম হরসেস মাউথ। আমি তাকে বলছি, এইটা কিভাবে সম্ভব।  
বললেন আমরা যা বেতন দেই তাতে তো চলে না।  
ফলে বাছা বাছা কিছু লোককে এম্ব্যাসি রেগুলার পেমেন্ট করে।  
উনার আলাপের একটা এক্সটেনশান হচ্ছে, এই ২৫% কিন্ত একটা সুনির্দিষ্ট কালচারাল আইডেন্টিটি বহন করে। তাদের বিভিন্ন প্রোগ্রামের অজুহাতে এম্বাসি পেমেন্ট করে।  
শুধু সাংবাদিক নয়, কালচারাল এস্টাব্লিশ্মেন্টের বড় একটা পেমেন্ট ভারত থেকে আসে।  
ফর একজাম্পল ভারতে একটা কালচারাল অনুষ্ঠান হবে, অথবা আমি যে প্রোগ্রামে পারটিসিপেট করলাম, যার স্পন্সর ছিল, ইন্ডিয়ান এম্ব্যাসি।
অথবা এম্ব্যাসি থেকে কোন সভায় ডাকা হইছে। অথবা কোন ম্যাগাজিন স্পন্সর করা হয়। এবং এই কাজ গুলো মুলত কালচারাল টুলস গুলো ব্যবহার করে হয়। এই ভাবে বিভিন্ন কালচারাল প্রোগ্রামের মাধ্যমে, এই সকল সাংবাদিক এবং কালচারাল নেতাদের দুতাবাস থেকে ইন্ডাইরেক্টলি সাপোর্ট দেয়।
গত বছর আমি খুব লম্বা একটা লেখা পরেছিলাম, যাতে বাংলাদেশের আবৃত্তির ইতিহাস ছিল। এবং, তাতে দেখতে পেলাম এই ইতিহাস মুলত 
"মৌলবাদ সাম্প্রদায়িকতা এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের -বিরুদ্ধে যে কালচারাল আন্দোলন হয়েছে, সেইটার ইতিহাস। " এর সাথে যারা আছে সবাই বামপন্থি নেতা বা বাম কালচারাল উইং এর সদস্য।  
হুইচ ইয নট এ প্রব্লেম। উনারা মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকত এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের বিরুদ্ধে প্যাশ্নেট ছিলেন। দ্যাট ইয ফাইন।  
কিন্ত প্রব্লেম হচ্ছে, এই ইতিহাসের ক্রিতিকাল কিছু লোক বর্তমান আওয়ামি লিগের সব চেয়ে বড় বেনেফিসিয়ারি এবং বর্তমানে ভারতীয় এস্টাব্লিশ্মেন্টের সাপোর্টেড।  
সেই প্রোগ্রাম টাতে, বাংলাদেশের আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের নেতা খুব জোর গলায় বললেন, আমরা জিতেছি। নুর ভাই। আমরা জিতেছি, একদিন আপনাকে আমাদের মউল্বাদিদের হাত থেকে রক্ষা করতে হয়েছিল। (একটা আক্রমনের ঘটনা বললেন)। আজকে ওরা কোথায় ? আপনাকে আমরা মন্ত্রি বানিয়েছি। আমরা পাজেরো গাড়িতে করে আজকে এখানে এসেছি।  
স্মৃতি থেকে একদম ওয়ারড বাই ওয়ার্ড বলতে পারবো না, কিন্ত, এই ধরনের কথা হইছে, যেইটা আমার খুব দুর্বল মেমোরিতেও মনে আছে কজ তখন কথা গুলো আমাকে হিট করছিল।  
এবং এই প্রোগ্রামে ভারতীয় হাই কমিশনার ছিল, মুক্ত মঞ্ছে, যিনিও জ্ঞান দিলেন, কেন মৌলবাদ এবং সাম্প্রদায়িকতা ঠেকাতে হবে, এবং বাংলাদেশের তরুনেরা কেন সাম্প্রদায়িকতাকে বর্জন করবে।  
নাউ হেয়ার ইজ দা থিং, হুইচ ইজ নট সো সাটল। আবৃত্তি সংগ্রাম পরিষদ(বা যেইটাই নাম হোক, আমি সিউর না। বা যেই হোক তাদের লিডাররা যদি ভারতীয় হাই কমিশানেরর পাশের চেয়ারে বসে, ভারতের হস্তক্ষেপে বাংলাদেশের নির্বাচনের পরে, এই রকম বলতে পারে, তাহলে, তাদের বয়ানের সাথে অনুষ্ঠানের স্পন্সরশিপের বিষয়টা যোগ করলে এইটা ক্লিয়ার হয়, এরা ভারতীয় স্পন্সরে সাপোর্টেড।  
এইটা বুঝতে কোন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব লাগবেনা, ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখতে হবে না।  
এরা যদি দেশ প্রেমি হইত তবে তারা ভারতীয় এম্বাসাডার কে বলতো, আমাদের দেশের মৌলবাদ না সাম্প্রদায়িক সেইটা আমরা দেখবো আপনার মুখ থেকে শুনতে হবেনা।  
বাট দেন এগেইন, তারা বাংলাদেশের ভারতীয় হস্তেক্ষেপের বিষয়টা নরমালাইজ করে ফেলছে।
আমি আবার বলছি,এদের ইতিহাস পড়ে দেখলাম, এরা সবাই সিপিবি বা ছাত্র ইউনিয়ান বা অন্য বাম দল গুলোর নেতা।  
নাউ, আপনি প্রস্ন করতে পারেন , আমার বন্ধু যে একজন সিনিয়ার আবৃত্তিকার কি তাহলে ইন্ডিয়ান এম্ব্যাসির পেইড ? 
নো।  
ও খুব সাধারণ সাদামাটা একটা মানুষ, যে দেশকে ভালোবাসে। যে ওয়ার্কিং ক্লাস পারসন, খেটে খায়।  
আবৃতি ভালবাসে তাই অবসর সময়ে নিজের গতর খেটে আবৃতি ছড়িয়ে দেওয়ার পিছনে সময় দেয়।
তার সংগঠনের লিডার যারা তাদের অনেকেই পেইড, অথবা অনুষ্ঠান বা ডোনেশান বা সম্মানি এই সবের বিনিময়ে পেমেন্ট নেয়।  
এইটা নিয়ে সে মাথা ঘামায় না।  
এই গুলো সাংস্কৃতিক অঙ্গনে জানা ঘটনা। নর্মালাইজড।
আমি শাহবাগ মুভমেন্টের এনালিসিসে এইটা বলছিলাম যে, আওয়ামী লীগ শুধু মাত্র শাহবাগের মঞ্ছ নিয়ন্ত্রন করছে। যারা সামনে ঘুরে বেরাইছে, তারা জানেও নাই মঞ্ছে কি হচ্ছে। তারা এইটাকে উৎসব ভেবে ঘুরে বেরাইছে।  
আজকে, ভারতিয় দুতাবাদ অনেক গুলো কালচারাল সংগঠনের মাথাকে কিনে নিছে। এবং, এইটা এখন এরা লুকায় ও না।  
অনেকে বলে, বাংলাদেশে র আছে। এইটা বলতে তারা বুঝে জেমস বন্ড টাইপের কিছু। ইট ইজ নট।  
এই কানেকশানটা বাংলাদেশে কালচারাল।  
এইটার টুলস হচ্ছে, আজকে আমাদের সেকুলারদের প্রিয় "মৌলবাদ বিরোধিতা, স্বাধীনতার চেতনা এবং অসাম্প্রদায়িকতা" নিয়ে কালচারাল এক্টিভিটি গুলো।  
আমাকে বেশ কিছু বন্ধু জিজ্ঞেস করছেন, বামপন্থিদের আপনি এতো শক্তিশালী বলেন, তাদের শক্তির সোর্স কি ? 
সোর্স হচ্ছে এই কালচারাল মেসেজিং গুলো, মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা বিরোধিতা, চেতনা। এই গুলো তো আর এমনি এমনি সোসাইটিতে আসে নাই এই গুলোর পেছনে ইনভেস্টমেন্ট হইছে।  
এবং ইফ ইউ ফলো দা মানি ট্রেইল ,আপনি দেখতে পাবেন ইন মেনি কেসেস এই ইনভেস্টমেন্ট করে গ্যাছে, ইন্ডিয়ান এম্বাসি, ফর এ ভেরি ভেরি  লংটাইম। যার একটা আমি নিজের চোখে দেখলাম।  
এবং এরা সবাই বামপন্থি নেতা বিভিন্ন লেভেলে। অথবা বামপন্থি আইডেন্টিটি মেন্টেন করে চলে।  
এরা কেউ নিজেকে আওয়ামি লিগ পরিচয় দেয় না।  
নাউ, দেয়ার ইজ দিস থিং কেন আমি এই আলোচনাটা করতেছি।  
গত কালকে, সারোওয়ার ভাইয়ের সাথে ডিবেটে আমি দেখতেছিলাম, উনি অথরেটেরেনিজম এবং ফ্যাসিজমের- কালচারাল এবং ডকট্রিনাল বিষয়ের পার্থক্য করতেছেন না। উনার কাছে বিএনপি তো ফ্যাসিস্ট , এরশাদও ফ্যাসিস্ট,শেখ হাসিনাও ফ্যাসিস্ট।  
কিন্ত, যেইটা উনি বুঝতে ভুল করছেন, এরশাদ একটা সস্তা সামরিক স্বৈরাচার।  
ফ্যাসিজমের একটা স্ট্রং কালচারাল টুল লাগে। যেইটা এরশাদের ছিল না।  
শেষ করি। ফাইনালি।  
আমার একটা হাইপোথেসিস হচ্ছে, বাংলাদেশে এখন আর কোন র নাই।
কারন, বাংলাদেশকে এমন ভাবে কালচারাল এস্টাব্লিশ্মেন্ট দিয়ে, দখল করা হইছে, এবং এমন ভাবে বাংলাদেশে কি নইতিক কি নইতিক না, সেই ম্যাসেজ নিয়ন্ত্রন করা যাইতেছে এদের দিয়ে, এবং এরা যেভাবে সপ্রনদিত হয়ে সারভিস দিচ্ছে এবং এদের পলিটিকাল উইং যেভাবে বিরোধীদের লেজেটিমেসি নষ্ট করতেছে এবং সমাজে তাদের বিচরণ যেভাবে নরমালাইজ করা হইছে-তারপরে আবার র এর পেছনে ইনভেস্ট করা ইন্ডিয়ার জন্য লস।  
গান বাজনা আবৃত্তি দিয়েই যদি একটা দেশকে দখল করা যায় তখন শুধু শুধু ইন্টেলিজেন্সের পেছনে খরচ কোন বেকুব করবে ?

বানানরীতি লেখকের নিজস্ব

লেখক : অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকার।  

news24bd.tv/ডিডি