পেঁয়াজের দাম কমার সুবাতাস

পেঁয়াজের দাম কমার সুবাতাস

অনলাইন ডেস্ক

পেঁয়াজ রপ্তানিতে বেঁধে দেওয়া নির্ধারিত মূল্য তুলে নেওয়ায় ভারত থেকে উন্মুক্ত ডলারে পণ্যটি আমদানি করতে পারবেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। ফলে পেঁয়াজ দাম অনেকাংশেই কমে যাবে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালক সন্তোষ কুমার সারঙ্গি স্বাক্ষরিত একটি পরিপত্র জারি করা হয়।

পরে তা বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জানানো হয়।

এর আগে পেঁয়াজ আমদানিতে মূল্য নির্ধারণ ছিল ৫৫০ ডলার। সঙ্গে ৪০ শতাংশ শুল্ক। এতে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৭০-৭৪ টাকার বেশি পড়তো। এখন উন্মুক্ত ডলারে আমদানি করায় বাজারে দাম অনেকাংশেই কমে যাবে।

এদিকে শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) হিলি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারতের আমদানি করা নাসিক ও ইন্দোর পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮৪-৮৬ টাকায়, আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯৫-১০০ টাকায়। যা গত কয়েক দিনের তুলনায় কেজিতে প্রায় ১০ টাকা কম।

পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল জানান, কয়েকদিনের তুলনায় কেজিতে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে।

পেঁয়াজ আমদানিকারক নুর আলম বাবু বলেন, ভারতীয় সরকার পেঁয়াজ আমদানিতে নির্ধারিত মূল্য বাতিল করার কারণে আমাদের জন্য অনেক সুবিধা হয়েছে। এতে করে খোলা বাজারে দাম কমে যাবে। এক দুদিনের মধ্যেই নতুন দামে আমদানি শুরু হবে।

এর আগে গত বছরের ২৮ অক্টোবর রপ্তানি মূল্য বাড়িয়ে ৮০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে ভারত। সে দামেই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করছিলেন আমদানিকারকরা। পরে ৭ ডিসেম্বর ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখার পরিচালক জেনারেল সন্তোষ কুমার স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে। এরপর থেকেই হিলিসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। গত ২৩ মার্চ সেই মেয়াদের সময়সীমা বাড়িয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে ভারত। পরে ৪ মে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তা প্রত্যাহার করা হলেও রপ্তানিতে ৪০ ভাগ শুল্ক আরোপ করে দেশটি।

news24bd.tv/তৌহিদ

এই রকম আরও টপিক