বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেছেন, জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আমরা নতুন স্বাধীনতা লাভ করেছি। এই আন্দোলনে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের অবদান অনস্বীকার্য। ওলামায়ে কেরামও ধর্মপ্রাণ জনতাকে নিয়ে ব্যাপকভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় আল্লাহ তায়ালা এই জাতিকে যে বিজয় ও স্বাধীনতা দান করেছেন তা স্মরণীয় করে রাখতে হলে সংবিধান, রাষ্ট্র ও সরকার কাঠামোর বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন অনিবার্য।
আজ শুক্রবার বিকেল তিনটায় শিশু কল্যাণ মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজের ৫৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন।
সম্মেলনে বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারী বলেন, বিগত ষোল বছর বাংলাদেশ ফ্যাসিস্ট হাসিনার স্বৈরাচারী দুঃশাসনের কবলে ছিল। কায়েম করেছিল ত্রাসের রাজনীতি। দেশের সবকটি সেক্টর কুড়মুড় করে শেষ করে দিয়েছে। অন্যসব খাতের মত শিক্ষাব্যবস্থাকেও সম্পূর্ণরূপে ধ্বংসের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে। পৌত্তিলকতা, নাস্তিক্যবাদ, শারীরিক শিক্ষার নামে যৌনতা ও ট্রান্সজেন্ডারের মতো চরম ঘৃণিত কুফরি বিষয় সন্নিবেশিত করে এমন এক শিক্ষাব্যবস্থা জাতির ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করি এটা জাতিকে মেধাহীন ও অদক্ষতার অন্ধকারে নিমজ্জিত করার নীল নকশা ছাড়া আর কিছু নয়।
তিনি বলেন, বৈষম্যেবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অর্জিত নতুন এ স্বাধীনতার সুফল পেতে আদর্শবাদী দেশপ্রেমিক সুনাগরিক তৈরির জন্য বর্তমানে প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনের কোনো বিকল্প নেই।
সম্মেলনে প্রধান বক্তা ইসলামী ছাত্রসমাজের কেন্দ্রীয় সভাপতি এহতেশামুল হক সাখী বলেন, ৫৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এই অংশ বিশেষ বাক্যটি সত্যিই আমাদের ভাবিয়ে তোলে। ৫৫বছরের সংগঠনটির ঐতিহ্য, গুণকীর্তি এবং এক ঐতিহাসিক রেখে আসা সোনালী ইতিহাস রয়েছে। যা আমাদের অনুসরণীয় ও অনুপ্রেরণার। আকাবিরদের হাতে বুনিয়াদ হওয়া ছাত্রসমাজের ইতিহাস কতোটা মসৃণ ও সমৃদ্ধ এটি সহজেই অনুমেয় হবে আশা করি।
তিনি বলেন, ৩ সেপ্টেম্বর সংগঠনটির ৫৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১৯৬৯ সালের এই দিনে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে আজ পর্যন্ত আল্লাহর জমিনে তাঁর দীন প্রতিষ্ঠা তথা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এ ভূখণ্ডে একটি কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য নিবেদিতপ্রাণ একদল যোগ্য মুজাহিদ তৈরির প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন।
সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা আবু তাহের খান, আব্দুল্লাহ আল মাসউদ খান, মুফতি আতিকুর রহমান সিদ্দিকী, লেখক গবেষক কবি মাহমুদুল হাসান নিজামী, মহাসচিব বি এম আমির জিহাদী, মাওলানা জহিরুল ইসলাম নেজামী, ইসলামী ছাত্রসমাজের ঢাকা মহানগর নেতা হাফেজ আবু হুরায়রা, উসামা আল আজাদ, মোহাম্মদ ঈসা খান, মোহাম্মদ মুসা, জাবের আবদুল্লাহ, সাকিব সিরাজী, আল মামুন, মাজহারুল ইসলাম, তাশরিফ প্রমুখ।
news24bd.tv/তৌহিদ