ভারতের মণিপুর রাজ্যের স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি বিদ্রোহীরা গত সপ্তাহে ড্রোন ও রকেট ব্যবহার করে হামলা চালায়। এই হামলায় রকেট-ড্রোন ব্যবহার দেখে হতবাক হয়ে যায় স্থানীয় প্রশাসন।
কুকিরা কীভাবে এসব অস্ত্র পেলো তা নিয়ে চলতে থাকে জল্পনা কল্পনা। এছাড়াও স্থানীয় প্রশাসন খুঁজতে থাকে এসব হামলাগুলো কোন জায়গা থেকে চালানো হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ-১৮-এর বরাতে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) জানা গেছে, গোয়েন্দারা তদন্ত করে মিয়ানমার সীমান্তের কাছের কয়েকটি জায়গার সন্ধান পেয়েছেন। তারা ধারণা করছেন, সেখানে বিদ্রোহীদের ঘাঁটি থাকতে পারে। এর পাশাপাশি থাকতে পারে অস্ত্র উৎপাদনের কারখানাও। আর ওই ফ্যাক্টরিতে অস্ত্র তৈরি করে থাকতে পারে কুকিরা।
আরও পড়ুন: মস্কো সফরে যাচ্ছেন ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা দোভাল
মণিপুর সরকারের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নিউজ-১৮-কে জানিয়েছেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে এসব অস্ত্রের মধ্যে অ্যামোনিয়াম ও গেলিগ্নিটের মতো বিস্ফোরক পাওয়া গেছে। তবে উচ্চমাত্রার কোনো বিস্ফোরকের উপস্থিতি এখন পর্যন্ত মেলেনি। যেহেতু এখনো তদন্ত চলছে তাই উচ্চমাত্রার বিস্ফোরণ পাওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া মণিপুর পুলিশ অভিযান চালিয়ে কিছু অস্ত্র উদ্ধার করেছে। যেগুলোর ফায়ারিং রেঞ্জ অন্যান্য সাধারণ অস্ত্রের চেয়ে বেশি। ’
উল্লেখ্য, গত শনিবার সকালে কুকি বিদ্রোহী এবং মেতেই জনগোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলি হয়। ওই সময় এক ব্যক্তিকে ঘুমের মধ্যে হত্যা করা হয়। নতুন করে সহিংসতা শুরু হওয়ায় রাজ্যটির নির্দিষ্ট অংশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বন্ধ রয়েছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও।
ওই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অনির্দিষ্টকালের জরুরি অবস্থা জারি করা হয় মণিপুরের জিরিবাম বিভাগে।
news24bd.tv/SC
