আন্দোলনে ১০০০ এর বেশি নিহত, দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন চার শতাধিক

আবু সাঈদ

আন্দোলনে ১০০০ এর বেশি নিহত, দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন চার শতাধিক

অনলাইন ডেস্ক

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। এছাড়া চার শতাধিক মানুষ দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন বলেও জানান তিনি। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল পরিদর্শনকালে তিনি এ তথ্য জানান।

উপদেষ্টা উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনে এ পর্যন্ত ১ হাজারের ওপরে নিহত হয়েছেন।

চার শতাধিক ছাত্র-জনতা দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। অনেকের এক চোখ অন্ধ হয়ে গেছে। অনেকে দু-চোখেই দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। ’ 

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমেরিকার সেবা নামক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা হয়েছে।

যাদের চোখ অন্ধ হয়ে গেছে বা চোখে সমস্যা দেখা দিয়েছে সেবা ফাউন্ডেশনের কাছে তাদের তালিকা পাঠানো হয়েছে। খুব শিগগিরই চিকিৎসার জন্য দেশে তারা ডাক্তার আনবে। ইস্পাহানী ইসলামিয়া চক্ষু ইনস্টিটিউট, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও দিনাজপুরে তাদের চিকিৎসা হবে। ’

পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন। তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং চিকিৎসকদের সঙ্গেও আহতদের সেবা নিয়ে কথা বলেন।

পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘আমরা এখানে আসলাম এবং দেখলাম পুলিশের অনেক আহত সদস্য চিকিৎসাধীন। অনেকে পায়ে আহত হয়েছেন, অনেকে মাথায় আঘাত পেয়েছেন। তাদের চিকিৎসা চলছে এবং আমি যতটুকু তাদের কাছ থেকে শুনেছি তাদের ভালোমতো চিকিৎসা চলছে। এখানে আহত একজন ছাত্র সমন্বয়ক ভর্তি আছেন, তারও এখানে চিকিৎসা চলছে। ’

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আহতদের সরকারের তরফ থেকে চিকিৎসা দেওয়া হবে জানিয়ে নূরজাহান বেগম বলেন, ‘সরকার থেকে বলা হয়েছে যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের দায় দায়িত্ব সরকার নিবে এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হবে। ’

নূরজাহান বেগম আরও বলেন, ‘অনেকে পায়ে আঘাত পেয়েছেন, অনেকের পা কেটে ফেলতে হয়েছে। বিভিন্ন দাতা সংস্থার সঙ্গে কথা হয়েছে, বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গেও কথা হয়েছে। যাতে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশ থেকে ডাক্তারদের টিম নিয়ে আসা যায়। সেটা আনার চেষ্টা চলছে। ’

পরিদর্শনকালে হাসপাতাল পরিচালক ডিআইজি শেখ মো. রেজাউল হায়দারসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, ডাক্তার, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের স্বাস্থ্য বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

news24bd.tv/আইএএম