নর্দান টেরিটরির বিরুদ্ধে ১১২ রানের জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ এইচপি দল। ব্যাট হাতে টপ অর্ডার থেকে শুরু করে লোয়ার অর্ডার পর্যন্ত ব্যাট হাতে সবাই রেখেছেন যথাসাধ্য অবদান। লড়াকু যে স্কোর বোর্ডে তাতে জমা হয়েছিলো, সেটা ডিফেন্ড করতে গিয়ে নর্দান টেরিটরি ক্রিকেটকে সুযোগই দেয়নি বাংলাদেশ এইচপি দল।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) ডারউইনে প্রথম ওয়ানডেতে আগে ব্যাটিং করে এইচপি দল দাঁড় করিয়েছিল ২৫০ রানের স্কোর।
এইচপির শুরুটাও হয়েছিলো দুর্দান্ত। দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন সাবলীল ব্যাটিংয়ে রানের চাকা সচল রাখেন।
তরুণ এই বাঁহাতি ব্যাটার চার্লি স্মিথের শিকার যখন হন, তখন দলীয় স্কোর ঠিক ১০০ রান। এমন একটা শুরুর পর এইচপির চোখ ছিলো বড় স্কোরের দিকেই। তবে খুব অল্প সময়ের মধ্যে কয়েকটি উইকেট হারিয়ে ছন্দপতন হয়। জিশান আলম ১১ রানে ফেরার পর ৬৪ বলে ৫৩ রানে শেষ হয় তানজিদের ইনিংসও।
আফিফও বেশিদূর এগিয়ে যেতে পারেননি। এরপর আকবর আলি (২০), শামিম হোসেন (২০) ও মাহফুজুর রহমানরা (১৭) শুরুটা পেলেও ব্যর্থ হন ইনিংস লম্বা করতে। দলের ত্রাতা হিসেবে হাজির হয়ে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংস খেলেন বোলিং অলরাউন্ডার আবু হায়দার রনি। আটে নামা আবু হায়দারের ব্যাট থেকে আসে ৪১ রান। ৩৮ বলের ইনিংস সাজান ৩টি চার ও একটি ছক্কায়। তাতে ইনিংসের শেষ বলে অলআউট হওয়ার আগে একটা লড়াকু স্কোর পায় এইচপি দল।
রান তাড়ায় নর্দান টেরিটরিকে শুরু থেকেই চাপের মুখে ফেলে দেয় এইচপির বোলাররা। ৪৪ রানেই তুলে নেয় চার উইকেট। সেই ধাক্কা থেকে দলটি আর বের হতেই পারেনি। ওপেনার জ্যাকব ডিকম্যান কিছুটা লড়াই করেন, তবে অন্যপ্রান্তে সমর্থন পাননি একেবারেই। দলীয় সর্বোচ্চ ৫১ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে তাতে শেষ পর্যন্ত বড় পরাজয়ই বরণ করতে হয় দলটিকে। ব্যাটের পর বল হাতেও আলো ছড়িয়ে আবু হায়দার শিকার করেন দুই উইকেট। সমান দুটি করে উইকেট নেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ, রকিবুল হাসান ও মাহফুজুর রহমানও। একটি উইকেট যায় আফিফের ঝুলিতে। অন্যটি রান আউট।
news24bd.tv/SC