গ্যাস সংকটে বড় প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতে: জ্বালানি বিশেষজ্ঞ

গ্যাস সংকটে বড় প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতে: জ্বালানি বিশেষজ্ঞ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সামিটের ভাসমান এলএনজি বন্ধ থাকায় ব্যাহত হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ। ফলে ২ মাসেরও বেশি সময় দেশে চলছে গ্যাসে সংকট।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন সংকট ব্যাহত করবে রপ্তানি। যার বড় প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতে।

এদিকে, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন আগামী ১০ দিনের মধ্যে সচল হবে সামিটের ভাসমান এলএনজি। স্বাভাবিক হবে সরবরাহ।

গত ২৭ মে ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে একটি ভাসমান পল্টুন এসে বঙ্গোপসাগরে ভাসমান সামিটের ফ্লোটিং স্টোরেজ রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিটে আঘাত করে। এতে ভাসমান টার্মিনালের একটি ব্যালাস্ট ট্যাংক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এরপর ওই টার্মিনাল দিয়ে জাতীয় গ্রিডে এলএনজি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। টার্মিনালটির অপারেশনাল কার্যক্রম না থাকায় জাতীয় গ্রিডে এলএনজি সরবরাহ নেমে আসে অর্ধেকে।
 
গত ২৬ জুলাই ভাসমান এই টার্মিনালটি চালু হয়ে সরবরাহ শুরু করার কথা থাকলে মেরামতের কাজ শেষ না হওয়ায় তা হয়নি। ফলে গ্যাস সংকটের পাশাপাশি গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর উৎপাদন কমে যায়। যার সার্বিক প্রভাব পড়ে শিল্পে।
 
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ শামসুল আলম বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সংকটের কারণে প্রভাব পড়েছে রপ্তানিতে। এছাড়া বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও এটি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে।

বুধবার রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে বিষয় নিয়ে জ্বালানি, বিদ্যুৎ খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান সামিটের ভাসমান এলএনজি ঠিক হতে আরও ১০ দিন লাগবে। এতে করে স্বাভাবিক হবে গ্যাস সংকট।

রাষ্ট্রায়ত্ত রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (আরপিজিসিএল) তথ্য বলছে, বর্তমানে একটি টার্মিনালের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে দৈনিক সরবরাহ হচ্ছে ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি। দ্বিতীয় টার্মিনালের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ শুরু হলে জাতীয় গ্রিডে আরও ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ বাড়বে।

news24bd.tv/তৌহিদ

সম্পর্কিত খবর