আনারকন্যা ডরিন ও কালীগঞ্জ পৌর মেয়রকে হত্যার হুমকি

সংগৃহীত ছবি

আনারকন্যা ডরিন ও কালীগঞ্জ পৌর মেয়রকে হত্যার হুমকি

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল আলম আশরাফ এবং এমপি আনার কন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডরিনকে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে ডরিন এ হত্যার হুমকির কথা উল্লেখ করেন। অন্যদিকে মঙ্গলবার বিকালে মেয়রের মোবাইল ফোনে সরাসরি হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় পর মেয়র আশরাফুল আলম কালীগঞ্জ থানায় নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

জিডির বিষয়টি কালীগঞ্জ থানার ওসি আবু আজীফ নিশ্চিত করেছেন।

অপরদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইমোতে টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে দুইজনকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে একটি আগ্নেয়াস্ত্র পিস্তলের ছবিও দেওয়া হয়েছে।

ফেসবুকে ডরিন লেখেন, আজ ইমোতে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলমকে হত্যার হুমকি দিয়েছে, সেই সঙ্গে আমাকেও।

ইংরেজিতে ওই ম্যাসেজে লেখা ছিল, ‘কিরে আশরাফুল ভালো হলি না, আনারের মতো কি ডরিনের লাশ তো কিমা কিমা করতে চাস। তুইও ভালো হয়ে যা, আর ডরিনকেও ভালো হয়ে যেতে বল, না হইলে দুজনের লাশ কিমা কিমা করে ফেলামু, বাদ যাবে না কিন্তু’।

ডরিন আরও লেখেন, এমন বার্তা দিয়ে তারা কী বোঝাতে চাচ্ছে। আমার বাবা হত্যার বিচার ও জড়িতদের ফাঁসি চাই। কোনো আসামি যেন বাংলার মাটি থেকে জামিন বা বের না হতে পারে। রাষ্ট্র ও ডিবির হস্তক্ষেপ কামনা করে তিনি হত্যার হুমকিদাতাকে অবিলম্বে তদন্ত করে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

ডরিন বলেন, যারাই হুমকি দিক বিচার ও শাস্তির দাবি থেকে এক পা পিছু হটবো না। জেলা ও উপজেলাসহ যেখানে গোটা বিশ্বের মানুষ এই হত্যার ঘটনা শুনেছে। আসামিরা জেলহাজতে রয়েছে। দুই দেশে তদন্ত চলছে। আমিসহ পরিবার ডিএনএ টেস্ট করতে কলকাতা যাবো। এমন সময় হুমকি দিয়ে তারা আমাদের কী বোঝাতে চায় তারা। মোটেও আমাদের ভয় বা ভীতি বা হারানোর কিছু নেই। সাহস থাকলে বাবার কাছে পাঠিয়ে দিন। তবে দেশের সরকার ও দল এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ঠিকই খুঁজে পাবে আপনি কে বা কোন নেতার অনুসারী।

গত ১৩মে কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনে এমপি আনারকে খুন করা হয়। এই হত্যার মূল মাস্টারমাইন্ড বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক ও কোটচাঁদপুর পৌর মেয়র সহিদুজ্জামান সেলিমের ভাই আখতারুজ্জামান শাহীনের নির্দেশেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। খুনের পর সেই লাশের টুকরোগুলোকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলার ভাঙ্গড়ের কৃষ্ণমাটি এলাকার বাগজোলা খালে ফেলা হয়। পরে ওই খাল সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু হাড় উদ্ধার করে সিআইডির কর্মকর্তারা। যা দেখে সিআইডি কর্মকর্তা ও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান সেগুলো মানুষের হাড়।

পাশাপাশি সঞ্জীবা গার্ডেনের ওই আবাসনের সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয় প্রায় চার কেজি মাংস। উদ্ধার ওই মাংস পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী ওই মাংসের টুকরোগুলো পুরুষ মানুষের। সিআইডির সূত্র বলছে, তবে এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত রিপোর্ট আসেনি।

news24bd.tv/FA