কোটা নিয়ে হাইকোর্টের ‍পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

কোটা নিয়ে হাইকোর্টের ‍পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

অনলাইন ডেস্ক

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাসহ কোটা পদ্ধতি বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে।

আজ রোববার (১৪ জুলাই) রায়ের ২৭ পৃষ্ঠার অনুলিপি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। যেখানে বলা হয়েছে, সরকার প্রয়োজনে অথবা চাইলে কোটা সংস্কার করতে পারবে।

হাইকোর্টের রায়ে যা বলা হয়েছে

  • ২০১৮ সালে ১০ অক্টোবর জারি করা করা পরিপত্র আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত, অবৈধ ও অকার্যকর ঘোষণা করা হলো।
  • ২০১২ সালে হাইকোর্টের রায় যা ২০১৩ সালে আপিল বিভাগ কর্তৃক অনুমোদিত, সেই রায়ের আলোকে সরকারি চাকুরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও পৌত্রদের জন্য কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের নির্দেশ দেওয়া হলো।  
  • সেইসঙ্গে জেলা, নারী, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তি ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য কোটা বহাল রাখার নির্দেশ দেওয়া হলো।
  • এই আদেশে পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারির নির্দেশ দেওয়া হলো।
  • সরকার যদি কোটা বহাল রেখে এর পরিবর্তন বা কোটার সংখ্যার হ্রাস বা বৃদ্ধি ঘটায় সেক্ষেত্রে এই রায় কোনো বাধা হবে না।
  • যদি কোটায় পদ পূরণ না হয় তাহলে মেধা তালিকা থেকে শূন্যপদে নিয়োগ দেয়ার স্বাধীনতা কর্তৃপক্ষের থাকবে।

এর আগে, গত ৫ জুন সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেন বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ। এরপর ৯ জুন হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। সেদিন এই আবেদন শুনানির জন্য আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত।

গত ৪ জুলাই প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় আপাতত বহাল রাখার নির্দেশ দেন। পরে ১০ জুলাই হাইকোর্টের দেয়া রায়ে চার সপ্তাহের জন্য স্থিতাবস্থা দেন আপিল বিভাগ।

এর আগে, ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে সরাসরি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি তুলে দিয়ে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

news24bd.tv/SHS