আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সামাজিক সাম্য নিশ্চিতে পৃথিবীর সব দেশেই কোটা পদ্ধতি বিদ্যমান রয়েছে। কোটা না থাকায় নারীদের নিয়োগ কমে গেছে। মুক্তিযুদ্ধ কোটা নিয়ে যে তথ্য দেওয়া হচ্ছে তা অবাস্তব। কোটা পদ্ধতি বাতিলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী।
বৃহস্পতিবার (১১ জুন) রাজধানীর মিন্টু রোডে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আপিল বিভাগ স্থিতাদেশ দিয়েছেন। ফলে ২০১৮ সালের পরিপত্র অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে কোনো কোটা নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দেওয়ার চেষ্টা করছে বিএনপি। মির্জা ফখরুলের মুক্তিযোদ্ধাদের কোটার বিরোধিতা করায় বোঝা যায় এতদিন দলটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে ছিল। সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। আন্দোলনকারীরা ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছে, মানুষদের জিম্মি করছে।
তিনি আরও বলেন, কোটা আন্দোলন নিয়ে কেউ যাতে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে না পারে সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। জনদুর্ভোগমূলক সব কর্মসূচি বন্ধ করে আদালতের নির্দেশ মেনে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি। কিন্তু যদি এটি নিয়ে কেউ ফায়দা লুটতে চায়, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, কোটা আন্দোলনকে যদি কেউ রাজনৈতিক ফাঁদে ফেলতে চায়, তবে তা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবে আওয়ামী লীগ। কোটা আন্দোলনকে বিএনপি সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দিতে চায়, কিন্তু সে খায়েশ পূরণ হতে দেওয়া হবে না।
news24bd.tv/আইএএম