পিএসসির অফিস সহায়কের ফাঁস করা প্রশ্নে বিসিএস ক্যাডার হন তিনজন

মো. খলিলুর রহমান

পিএসসির অফিস সহায়কের ফাঁস করা প্রশ্নে বিসিএস ক্যাডার হন তিনজন

অনলাইন ডেস্ক

প্রশ্নফাঁসকাণ্ডে বেরিয়ে আসছে একের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য। গতকাল মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় গ্রেপ্তার সাতজনের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। সেখান থেকেই জানা গেছে, সরকারি কর্ম কমিশনের অফিস সহায়ক মো. খলিলুর রহমানের ফাঁস করা প্রশ্নে বিসিএস ক্যাডার হয়েছেন তিনজন।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ৩৩তম বিসিএস পরীক্ষায় ১০ জন প্রার্থীর কাছে প্রশ্নফাঁস করে একটি চক্র।

তাদের মধ্যে তিনজন বর্তমানে বিভিন্ন ক্যাডারে চাকরি করছেন। তাদের কাছে প্রশ্নফাঁস করেন খলিল। ওই বিসিএসে তার ফাঁস করা প্রশ্নে ১০ জনের মধ্যে ছয়জন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। সেই ছয়জনের মধ্যে তিনজন মৌখিক পরীক্ষায় বাদ পড়েন।
আদালতে এমনই জবানবন্দী দেন খলিলুর।

এছাড়াও সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও রেলের অন্তত কয়েকশ নিয়োগে খলিলুরের হাত ছিল বলেও তিনি আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।

সূত্র বলছে, খলিলুরের জবানবন্দীর সূত্র ধরে এখন তদন্ত করছে সিআইডি। তদন্তে যদি তার ফাঁস করা প্রশ্নে সত্যিই ওই তিনজন কর্মকর্তার বিভিন্ন ক্যাডারে চাকরি করার সত্যতা মেলে তবে তাদের বিষয়েও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাবে সিআইডি।

জবানবন্দীতে খলিলুর আরও জানিয়েছেন, পিএসসির সাবেক একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে তিনি চাকরিপ্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিতেন। সেখান থেকে সবুজ সংকেত মিললে নিয়োগের বিষয়ে আর্থিক লেনদেনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতো।

প্রশ্নফাঁসকাণ্ডে গ্রেপ্তার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়ামুলও প্রশ্নফাঁসে তাকে নানা সময় সহযোগিতা করতেন বলে জানিয়েছেন খলিলুর।

এর আগে, প্রশ্নফাঁসের অপরাধে ফৌজদারি ও বিভাগীয় মামলা হলেও অভিযোগ থেকে নাম কাটিয়ে আদালতের আদেশ নিয়ে আবার খলিলুর ফিরেছিলেন পিএসসিতে। ২০১২ সালে ৩৩তম বিসিএসের সময় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন। একই সময় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও হয়। পরে অনেক দৌড়ঝাঁপ করে খলিলুর মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে সফল হন।  ২০২২ সালের মার্চে মামলা ও বিভাগীয় মামলায় যথেষ্ট সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাবে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়।

টানা ১০ বছর সাময়িক বরখাস্তের সময়ে তিনি বকেয়া বেতন-ভাতাও ফেরত পান। সবশেষ তিনি ডেসপাস রাইডার পদে কর্মরত ছিলেন।

news24bd.tv/SHS