বয়স ৫০ ছুঁইছুঁই। কয়েক দিনের মধ্যেই ৫০ বছরে পা রাখবেন এই বলিউড অভিনেত্রী। যদিও সেটা তাঁকে দেখে বোঝার কোনও উপায় নেই। বিয়ে নিয়ে কম যন্ত্রণায় জড়াননি।
বলিউডের নামী পরিবারের সন্তান এই বলিউড অভিনেত্রী। তার সময় পরিবারের মেয়েদের কাজ করার অনুমতি ছিলেন না। তবে সেই নিয়ম ভাঙেন তিনিই।
শুধু তাই নয়, এই নায়িকা নারী নির্যাতনের অভিযোগও তুলেছিলেন প্রাক্তন স্বামী ও তার পরিবারের উপর। জানিয়েছিলেন, কীভাবে তার প্রাক্তন স্বামী নিজের মা-কে আদেশ দিয়েছিল তাকে থাপ্পড় মারার। কারণ তিনি প্রেগন্যান্সির কারণে মোটা হয়ে যাওয়ায়, একটি পোশাক গায়ে পরতে পারছিলেন না। যেটি শাশুড়ি নিজের হাতে করে এনেছিল।
এই ‘হতভাগ্য’ অভিনেত্রী আর কেউ নন, কারিশমা কাপুর। দিল্লির ব্যবসায়ী সঞ্জয় কাপুরকে ২০০৩ সালে বিয়ে করেছিলেন কারিশমা। তবে ২০১৪ সাল থেকে তাদের বিচ্ছেদের চর্চা শুরু হয়। এবং ২০১৬ সালে হয় আইনি বিচ্ছেদ।
এরপর ২ সন্তানকে নিয়ে আলাদাই থাকা শুরু করেন। ডিভোর্সের খেসারত হিসেবে মোটা টাকা খরচ করতে হয়েছিল সঞ্জয়কে। দুই সন্তানের ভরণপোষণের জন্য ১৪ কোটির বন্ড কিনে দিয়েছিলেন কারিশমার নামে। যা থেকে মাসে ১০ লাখ আসে অভিনেত্রীর অ্যাকাউন্টে। এখানেই শেষ নয়, খারে থাকা সঞ্জয়ের পৈত্রিক বাড়িটিও লিখে দেওয়া হয়েছিল ককারিশমা কাপুরের নামেই।
বিয়ের পর থেকে কাজ করা কমিয়ে দেন কারিশমা। ২০২৪ সালে তাকে দেখা যায় মার্ডার মুবারকে।
মুক্তির অপেক্ষায় 'ব্রাউন'। সম্প্রতি ৪৯ বছর বয়সী কারিশমা গ্রাজিয়া ম্যাগাজিনের জুন সংখ্যার প্রচ্ছদে স্থান পেয়েছেন। প্রচ্ছদে তাকে একটি প্যাস্টেল ব্লু টপ এবং একটি বেইজ ট্রেঞ্চ কোট এবং ম্যাচিং প্লিটেড প্যান্ট পরতে দেখা যায়।
অভিনেত্রীর নতুন লুক পছন্দ হয়েছে অনুরাগীদের। ফ্যাশন ডিজাইনার মাসাবা গুপ্তা লিখেছেন, ‘তিনিই সবচেয়ে চটকদার’। একজন তাকে 'টাইমলেস বিউটি' বলেও অভিহিত করেছেন।
চলতি বছরের ২৫ জুন কারিশমা তার ৫০তম জন্মদিন উদযাপন করতে চলেছেন। আরেক ভক্ত লিখেছেন, 'ওয়াও! এই মহিলার বয়স মোটেও বাড়বে বলে মনে হচ্ছে না। দিল তো পাগল হ্যায় থেকে তার প্রতি আমার ক্রাশ ছিল এবং আজও তার প্রতি আমার ক্রাশ রয়েছে। '
আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘বলিউডের অন্যতম সেরা অভিনেত্রী’।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।
