আহমাদিনেজাদ কোথায়? আলোচনায় এসেও বাদ পড়লেন কেন!

ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ। ছবি: পিবিএস

ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

আহমাদিনেজাদ কোথায়? আলোচনায় এসেও বাদ পড়লেন কেন!

অনলাইন ডেস্ক

ইরানের ১৪তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য চূড়ান্তভাবে ছয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এবারো অনুমোদন দেয়া হয়নি সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদকে। নির্বাচনের জন্য নিবন্ধন করলেও চূড়ান্ত প্রার্থী বাছাইয়ে বাদ পড়েছেন তিনি। বর্তমানে তিনি রাজধানী তেহরানের কাছে নরমাকে পৈত্রিকসূত্রে পাওয়া বাড়িতে বসবাস করছেন।

রোববার ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক ৮০ জন রাজনীতিবিদ ইরানের গার্ডিয়ান কাউন্সিল বা অভিভাবক পরিষদে নাম নিবন্ধন করেছিলেন। যাচাই-বাছাই শেষে ছয় জনের প্রার্থিতা চূড়ান্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এরপরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে।

প্রার্থীরা হলেন- মাসুদ পেজেশকিয়ান, মোস্তফা পুরমোহাম্মাদী, সাঈদ জালিলি, আলী রেজা যাকানি, আমির হোসেন কাজীজাদেহ হাশেমি ও মোহাম্মদ বাকের কলিবাফ।

গত ১৯ মে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। এরপর দেশটিতে ২৮ জুন আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

এই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছিলেন সাবেক প্রভাবশালী প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ। কিন্তু তার নিবন্ধনটি গ্রহণ করেনি গার্ডিয়ান কাউন্সিল। এর পরপরই তিনি দেশের পুরো নির্বাচন ব্যবস্থার কঠোর সমালোচক হয়ে উঠেন। এমনকি তিনি প্রকাশ্যে শীর্ষ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনিরও সমালোচনা করেন। অন্যান্য নির্বাচনের মতো এবারও ইরানে কোনো নারীকে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দেয়নি এই কাউন্সিল। এছাড়া যারা দেশের শাসন ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন চান এমন কেউও নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পাননি।

পেশাগত জীবনে আহমাদিনেজাদ ইরানের রিভোল্যুশনারি গার্ড কোরের সদস্য ছিলেন। ২০০৫ সালে তিনি প্রথমবারের মতো দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। পরপর দুইবার প্রেসিডেন্ট হওয়ার যে শর্ত তা পূর্ণ হওয়ায় ২০১৩ সালে তিনি পদ থেকে সরে দাঁড়ান।

এরপর ২০১৭ ও ২০২১ সালে আহমাদিনেজাদ আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কিন্তু দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে সে সময় তাকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেয়া হয়নি।

news24bd.tv/DHL