ফোনে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে বাড়বে খরচ

সংগৃহীত ছবি

ফোনে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে বাড়বে খরচ

অনলাইন ডেস্ক

আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোবাইল সিমের ওপর ভ্যাট বাড়বে। বর্তমানে সিমের ওপর ভ্যাটের পরিমাণ ২০০ টাকা। সামনে এই হার ১০০ টাকা বা ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করা হতে পারে। এছাড়া মোবাইল ফোনে কথা বলা, ইন্টারনেটের ওপর সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বর্তমানে ফোনে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে ১৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপিত আছে। এ ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ বাড়তে পারে সম্পূরক শুল্ক। বাজেটে এসব পরিবর্তনের ফলে মোবাইল গ্রাহকদের গুনতে হবে বাড়তি টাকা।

শুধু মোবাইল ফোনে নয়, আরও অনেক জায়গায় ব্যয় বাড়বে সাধারণ মানুষের। এক থেকে ৫০ ওয়াটের এলইডি বাল্ব এবং ১৮ থেকে ৩৬ ওয়াটের টিউব লাইটের ভ্যাটহার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হতে পারে। সেইসঙ্গে আমসত্ত্ব, বিভিন্ন রকম জুসের (আম, আনারস, পেয়ারা, তেঁতুল) ভ্যাটহার একইভাবে ৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ করা হচ্ছে।

বর্তমানে সিগারেটের রোলিং পেপারের ভ্যাট ৭ দশমিক ৫ শতাংশ, এমিউসমেন্ট ও থিম পার্কের ভ্যাট ৭ দশমিক ৫ শতাংশ, নিলামকৃত পণ্যের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ, সিকিউরিটিজ সার্ভিসে ১০ শতাংশ ও কন্ট্রাক্টর সেবার ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ ভ্যাট বহাল আছে। এসব বেড়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

সম্পূরক শুল্কের ক্ষেত্রে কার্বোনেটেড বেভারেজে এখন ২৫ শতাংশ নির্ধারিত আছে। এটা বেড়ে ৪৫ শতাংশ হতে পারে। সিগারেটের ওপর বর্তমানে স্তরভেদে ৫৮ শতাংশ থেকে ৬৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক নির্ধারিত থাকলেও এই হার উল্লেখযোগ্যভাবে সব ক্ষেত্রেই বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এছাড়া মূল্যস্তরেও পাঁচ থেকে ১০ টাকা বাড়বে। এর আগে কোনো অর্থবছরেই একসঙ্গে সর্বস্তরে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়নি।

ইলেকট্রনিক খাতের মধ্যে রেফ্রিজারেটর ও এয়ারকন্ডিশনে ভ্যাটহার ৫ শতাংশ বাড়ানো হতে পারে। তবে স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণের লক্ষ্য সামনে রেখে ল্যাপটপের আমদানি শুল্ক কমানো হচ্ছে। বর্তমানে ল্যাপটপ আমদানিতে মোট করভার ৩১ শতাংশ। এটা কমে হতে পারে ২০ দশমিক ৫০ শতাংশ। এছাড়া নিত্যপণ্যের মধ্যে পেঁয়াজ, রসুন, মটর, ছোলা, চাল, গম, আলু, মসুর, ভোজ্য তেল, চিনি, আদা, হলুদ এবং সবধরনের ফলসহ ৩০টি পণ্যের উৎস কর ২ শতাংশ থেকে ১ শতাংশ করা হতে পারে।

news24bd.tv/SHS

এই রকম আরও টপিক