যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে যাওয়া কে এই কিয়ার স্টারমার?

কিয়ার স্টারমার

যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে যাওয়া কে এই কিয়ার স্টারমার?

অনলাইন ডেস্ক

যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পাচ্ছে বিরোধী লেবার পার্টি। অন্যদিকে নির্বাচনে ভরাডু্বি হয়েছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের দল কনজারভেটিভ পার্টির। বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বিরোধী দল লেবার পার্টি ২৭৪ আসনে জয়ী হয়েছে। আর কনজারভেটিভ পার্টি ৪৯টি আসনে জয় পেয়েছে।

আর লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি জয় পেয়েছে ৩৩টি আসনে। ধারণা করা হচ্ছে, লেবার পার্টি ৪১০ আসনে জয় পাবে। আর কনজারভেটিভ পার্টি জয় পাবে ১৩১ আসনে।

সবকিছু ঠিক থাকলে ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন বামপন্থী লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমার।

তিনিই লেবার পার্টির জয়ের সাফল্যের নায়ক।  

কিয়ার স্টারমারের জন্ম রাজধানী লন্ডনে। ৬১ বছর বয়সী স্টারমার রাজনীতিতে আসার আগে ছিলেন মানবাধিকার আইনজীবী। যুক্তরাজ্যের পাবলিক প্রসিকিউশন দপ্তরের পরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

২০২০ সালের এপ্রিলে লেবার পার্টির নেতা হিসেবে দায়িত্ব নেন স্টারমার। জেরেমি করবিনের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি। দায়িত্ব নিয়ে দলকে যুক্তরাজ্যের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসেন স্টারমার। কয়েক বছরের মাথায় ভোটের লড়াইয়ে এর সুফল পেলেন তিনি।

সমর্থকদের চোখে স্টারমার একজন বাস্তববাদী মানুষ। ভরসা করার মতো রাজনীতিবিদ। সমালোচকদের অনেকের মতে, স্টারমার চৌকস নন; বরং তিনি অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়া একজন রাজনীতিক।

রাজনীতির মাঠে সাড়া ফেলে দেওয়া স্টারমার একজন দক্ষ ফুটবলার। ক্লাব ফুটবলে আর্সেনালের ভক্ত তিনি। ফৌজদারি বিচারপ্রক্রিয়ায় অবদান রাখায় ‘নাইট’ উপাধি পেয়েছেন স্টারমার।

সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম দ্য সান আয়োজিত এক বিতর্ক অনুষ্ঠানে স্টারমার বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো দেশগুলো থেকে যেসব মানুষ আসছেন, তাঁদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে না। ’ কনজারভেটিভ সরকারের রুয়ান্ডা অভিবাসী প্রত্যাবাসন প্রকল্পের সমালোচনা করতে গিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশি অভিবাসীদের নিয়ে লেবার নেতা স্টারমারের মন্তব্যে বিআরআই ও আইসিএসএফের ক্ষোভ
স্টারমারের এমন মন্তব্যে ক্ষোভে ফেটে পড়ে যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশি সম্প্রদায়। প্রতিবাদ জানানো হয়। এমন মন্তব্যে বিপাকে পড়েন এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থীরা। এবার লেবার পার্টির আটজনসহ সব মিলিয়ে অন্তত ৩৪ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্যের নাগরিক ভোটে লড়েছেন।

তুমুল সমালোচনার মুখে সুর নরম করেন স্টারমার। তিনি বলেন, ‘আমি আসলে বাংলাদেশকে আলাদাভাবে বোঝাতে চাইনি। আমাদের অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও আমাদের দেশের প্রতি বাংলাদেশি কমিউনিটির অবদানকে আমি ব্যাপকভাবে মূল্যায়ন করি। ’

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পর স্টারমারকে ডাউনিং স্ট্রিটে আরও কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়তে হবে। ভোটের আগে তিনি এক শব্দের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রচার করেছেন। তা হচ্ছে—পরিবর্তন।

news24bd.tv/আইএএম