রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায়ে ধরপাকড়

সংগৃহীত ছবি

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ পর্যায়ে ধরপাকড়

অনলাইন ডেস্ক

দুই সপ্তাহ আগে আকস্মিক প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগুকে বরখাস্ত করেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। এরপর দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের কথা বলে মন্ত্রণালয়ের আরও পাঁচজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খবর সিএনএন

প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুকে বরখাস্ত করার পর একে একে ওই মন্ত্রণালয়ের পাঁচজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। যা নিয়ে দেশটিতে চলছে তুমুল আলোচনা সমালোচনা।

ধরপাকড়ের এ ঘটনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিদের মধ্যে হতাশারও জন্ম দিয়েছে।

 হঠাৎ রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে কেন ধরপাকড় চলছে তা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন। কয়েকজন বিশ্লেষকের সঙ্গে কথা বলেছে গণমাধ্যমটি। তারা বলছেন, রাশিয়ার সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারি প্রতিষ্ঠান হলো প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ের বিপুল অঙ্কের সামরিক ঠিকাদারি চুক্তির বিষয় প্রকাশ করেছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমগুলো। প্রকাশ্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও তাদের বিলাসবহুল জীবনযাপনের সমালোচনা করা হয়েছে বিভিন্ন প্রতিবেদনে।
 
এরপরই দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের নামে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী তৈমুর ইভানভকও রয়েছেন। তার বিরুদ্ধেও ঘুষ নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। বিশ্লেষকদের দাবি, পুতিনের পরবর্তী টার্গেট সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ ভ্যালেরি জেরাসিমভ।
 
ইউক্রেন যুদ্ধে যখন রুশ বাহিনী সফলতার মুখ দেখছে ঠিক তখন এ ধরনের অভিযান ও রদবদল প্রশ্নের মুখে ফেলছে পুতিনকে। ধারণা করা হচ্ছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের অংশ হিসেবেই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
 
এদিকে, রাশিয়া একের পর এক গ্রাম দখলে নিলেও এখনি যুদ্ধে জয়লাভ করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। মস্কোর প্রতি বেইজিংয়ের সমর্থন চলমান যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করবে বলে দাবি তার।

news24bd.tv/DHL