চট্টগ্রামে ব্যাংকের লকার থেকে গ্রাহকের ১৫০ ভরি স্বর্ণ গায়েব

প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামে ব্যাংকের লকার থেকে গ্রাহকের ১৫০ ভরি স্বর্ণ গায়েব

অনলাইন ডেস্ক

চট্টগ্রামে চকবাজারে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের লকার থেকে এক গ্রাহকের ১৪৯ ভরি স্বর্ণের অলঙ্কার উধাও হয়ে গেছে। ঘটনাটি গত ২৯ মে দুপুরে ঘটলেও এখন পর্যন্ত ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বা গ্রাহক কেউই থানায় অভিযোগ করেননি।

পুলিশ জানায়, লকার থেকে গায়েব হওয়া ১৫০ ভরি স্বর্ণালংকারের মধ্যে রয়েছে ৬০ ভরি ওজনের ৪০ পিস হাতের চুড়ি (বড় সাইজ), ২৫ ভরি ওজনের গলা ও কানের ৪ জোড়া সেট, ১০ ভরি ওজনের একটি গলার সেট, ২৮ ভরি ওজনের ৭টি গলার চেইন, ১৫ ভরি ওজনের ৪টি আংটি ও ১১ ভরি ওজনের ৩০ জোড়া কানের দুল।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালী উদ্দিন আকবর জানান, গত ২৯ মে ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখায় এই ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে দ্রুত ইসলামী ব্যাংকের ওই শাখায় যান তিনি। গায়েব হওয়া স্বর্ণালংকারের মালিক রোকেয়া বারী নামে এক নারী। ভুক্তভোগীকে থানায় মামলা করতে বলেছিলাম। কিন্তু পরে আসবেন বলে তিনি আজও থানায় আসেননি।
রোকেয়া বারী নগরের চট্টেশরী এলাকার বাসিন্দা।

লকার থেকে স্বর্ণ গায়েবের বিষয়টি পুলিশের কাছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে বলে জানান ওসি ওয়ালী উদ্দিন আকবর।

এ প্রসঙ্গে ভুক্তভোগী রোকেয়া বারীর ছেলে ডা. রিয়াদ মোহাম্মদ মারজুকের দাবি, ব্যাংক কর্মকর্তারা তাদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছেন যে ঘটনা তদন্তে তারা একটি তদন্ত দল গঠন করেছেন এবং সাত দিনের মধ্যে সঠিক ঘটনা উদঘাটন করবেন। এ ছাড়া অভিযোগ দায়ের না করলেও ঘটনাটি পুলিশকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।

চিকিৎসক রিয়াদ মোহাম্মদ মারজুক বলেন, তার মা ২০০৭ সাল থেকে ইসলামী ব্যাংকের চকবাজার শাখায় তার স্বর্ণের গহনা রাখার জন্য লকার ব্যবহার করে আসছেন। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ব্যাংকে গিয়ে লকার রুমের ইনচার্জকে তার লকার দেখার অনুরোধ করেন। মায়ের কাছে লকারের মূল চাবি আছে এবং আরেকটি ডুপ্লিকেট চাবি ইনচার্জের কাছে থাকে।

তিনি বলেন, তারা দুজন লকার রুমে প্রবেশ করেন। তখন ইনচার্জ প্রথমে দেখেন যে মায়ের লকারটি খোলা। পরে আমার মা লকারটি পরীক্ষা করে ব্যাংক কর্মকর্তাদেরকে স্বর্ণালঙ্কার বিষয়টি জানান।

মামলা প্রসঙ্গে মারজুক বলেন, আমরা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি এবং চকবাজার থানার ওসি লকার রুম দেখে গেছেন। বুধবার রাতেই সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওসি আমাদেরকে বলেন মামলা করতে। আমরা আমাদের পরিবারিক আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করছি। এ বিষয়ে সোমবার আদালতে অভিযোগ দায়ের করব।

লকার থেকে ১৫০ ভরি স্বর্ণালংকার গায়েব হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখার ব্যবস্থাপক শফিকুল মওলা মন্তব্য করতে রাজি হননি।

news24bd.tv/DHL