পাইলট রিফাতের দাফন মানিকগঞ্জে

পাইলট রিফাতের দাফন মানিকগঞ্জে

অনলাইন ডেস্ক

কর্ণফুলী নদীতে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানের নিহত পাইলট আসীম জাওয়াদ ওরফে রিফাতকে মানিকগঞ্জে দাফন করা হবে বলে তার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা জহুরুল হক বিমান ঘাঁটির থেকে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান উড্ডয়ন করে। এর কিছুক্ষণ পরই বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয় এবং বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। কর্ণফুলী নদীতে ভূপাতিত হওয়ার আগেই বিমানে থাকা বৈমানিক উইং কমান্ডার সোহান ও বৈমানিক স্কোয়াড্রন লিডার অসীম জাওয়াদ প্যারাসুট দিয়ে নদীতে নামলেও আহত হন।

পরে তাদের উদ্ধার করে পতেঙ্গা বিএনএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিমানের উইং কমান্ডার সোহান জহুরুল হক ঘাঁটির মেডিকেল স্কোয়াড্রনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে বিমান বিধ্বস্তর ঘটনায় বৈমানিক আসীম জাওয়াদ ওরফে রিফাত বিএনএস পতেঙ্গা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে মারা যান।

নিহত আসীম জাওয়াদ রিফাত মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দরগ্রাম ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের ডা. মোহাম্মদ আমানউল্লার ছেলে।

তার মায়ের নাম নিলুফা খানম। নিহত পাইলট রিফাত মৃত্যুকালে স্ত্রী, ছয় বছর বয়সী কন্যা আইজা ও এক পুত্র সন্তানের জনক ছিলেন।

আসীম জাওয়াদের মামা মানিকগঞ্জের সিনিয়র সাংবাদিক সুরুয খান জানান, রিফাত একজন চৌকশ অফিসার ছিল। ছোটবেলা থেকেই সে বিমানবাহিনীতে যোগ দেবে এমন স্বপ্ন ছিল। রিফাতের স্ত্রী, ছয় বছরের মেয়ে আয়জা ও এক বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। আসীম জাওয়াদ তার স্ত্রী অন্তরা আক্তার ও ৬ বছরের একটি মেয়ে এবং দেড় বছরের এক ছেলেকে নিয়ে চট্টগ্রাম বিমানবাহিনীর ঘাঁটি জহরুল হকের অফিসার্স আবাসিক এলাকার নীলিমাতে থাকতেন। আর মা বাবা মানিকগঞ্জ পৌর শহরের দাশড়া এলাকায় থাকেন। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে তার মা এখন পাগল প্রায়। তাকে হারিয়ে পরিবার শোকে বিহ্বল।  

বিমান দুর্ঘটনার কারণে দেশ আজ একজন চৌকশ অফিসারকে হারাল বলে জানান তিনি।

news24bd.tv/তৌহিদ