ভূতত্ত্ব অধিদপ্তরকে গবেষণার রয়্যালিটি নির্ধারণের পরামর্শ

ভূতত্ত্ব অধিদপ্তরকে গবেষণার রয়্যালিটি নির্ধারণের পরামর্শ

নিজস্ব প্রতিবেদক

আবিষ্কার ও গবেষণার রয়্যালিটি নির্ধারণ করে সেসব তথ্য ও প্রতিবেদনের বাণিজ্যিক ব্যবহার করে ভূতত্ত্ব অধিদপ্তর লাভজনক হতে পারে বলে জানিয়েছেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ও সরকারের জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) পেট্রোবাংলায় বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি) আয়োজিত এক সেমিনারে এসব বলেন তারা। এসময় প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, দেশের খনিজ সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্বে যারা উন্নত হয়েছে সবাই খনিজ সম্পদের ওপর নির্ভর করেই উন্নত হয়েছে বলে মত প্রতিমন্ত্রীর।

নসরুল হামিদ বলেন, আমাদের যতটুকু সম্পদ রয়েছে তার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। বিজ্ঞানীরা অনেকে নীরবে কাজ করেন, কিন্তু সেগুলো পরে আর আমাদের পর্যন্ত সেভাবে আসে না। আপনারা রিপোর্ট করে নিয়ে বসে থাকেন। কিছু রিপোর্ট প্রকাশ করে দেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটা বিভাগ আবিষ্কার করছে, আরেক বিভাগ লাইসেন্স দিচ্ছে, আরেকটি বিভাগ ব্যবসা করছে। তাহলে তো আবিষ্কারের জন্য আমাদের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে। আপনারা কি চান সেটা তো আপনাদের দিক থেকে প্রস্তাবনা আসতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, অনেক সময় গেছে এখন আর বসে থাকার সুযোগ নেই। দেশের খনিজ সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। জিএসবিকে আরও আধুনিক ও শক্তিশালী করতে হবে। এসব বিষয়ে আপনাদের দিক থেকে প্রস্তাবনা আসা উচিত।

সেমিনারে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজেরা সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি সরকারকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে ভূতত্ত্ব অধিদপ্তরকে তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।

এসময় তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে যেসব সমস্যা এসেছে, তার সবই বহির্বিশ্বের তৈরি। এখন সেসব দেশ আবার আমাদের পরামর্শ দিচ্ছে। ফলে নিজেদের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত।

news24bd.tv/FA