এবার বৃষ্টিতে ভিজলো সেই চুয়াডাঙ্গা

চুয়াডাঙ্গায় বৃষ্টিপাত

এবার বৃষ্টিতে ভিজলো সেই চুয়াডাঙ্গা

অনলাইন ডেস্ক

টানা তাপমাত্রার রেকর্ডে অতিষ্ট ছিল চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। ৩৭ দিন দাবদাহের পর অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টির শুরু হয়েছে সেই চুয়াডাঙ্গায়। সোমবার বেলা ৩টা ৩৭ মিনিট থেকে দমকা হাওয়ার সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হয়। ৪টার পর থেকে শিলা পড়তে শুরু করে।

প্রচণ্ড গরমের পর এই বৃষ্টিতে জনজীবনে নেমে আসে স্বস্তি। প্রকৃতি ফিরে পায় প্রাণ।

১০-১৫ মিনিট শিলাবৃষ্টিসহ ১ ঘণ্টা ৩৮ মিনিট স্থায়ী বজ্রসহ বৃষ্টিতে মোট ২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, মার্চ মাসের ২৯ তারিখ থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলায় তাপপ্রবাহ শুরু হয়।

পুরো এপ্রিল মাস ছিল মাঝারি, তীব্র ও অতি তীব্র দাবদাহের সঙ্গে গরমের দাপট। এর মধ্যে গত ২৯ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ ডিগ্রি ও পরদিন ৩০ এপ্রিল সর্বোচ্চ ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যা স্বাধীনতার পর থেকে চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

আজ বেলা ৩টায় এ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫২ শতাংশ। সন্ধ্যা ৬টায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৪ শতাংশ।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘দুপুরের পর থেকেই চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানের আকাশে কালো মেঘে ঢেকে যায়। বেলা ৩টা ৩৭ মিনিট থেকে দমকা হাওয়ার সঙ্গে শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। বিকেল ৫টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী ছিল বৃষ্টি। ’

তিনি আরও বলেন, ‘এ সময় মোট ২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ডায়ামিটারে ১ সেন্টিমিটার শিলা রেকর্ড করা হয়েছে। ’

এ আবহাওয়া কর্মকর্তা বলেন, ‘এই বৃষ্টির মধ্য দিয়ে চুয়াডাঙ্গায় তাপপ্রবাহ শেষ হয়েছে। আগামী ১২ থেকে ১৩ মে পর্যন্ত এ জেলায় থেমে থেমে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় কালবৈশাখী, শিলাবৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টিও হতে পারে। ’

এদিকে টানা দাবদাহের পর চুয়াডাঙ্গায় স্বস্তির বৃষ্টিতে খুশি এ অঞ্চলের মানুষ। বৃষ্টি শুরুর পর শিশু, কিশোরসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষকে বৃষ্টির পানিতে ভিজতে দেখা গেছে। অনেকে উল্লাস উদ্‌যাপন করেছেন।

চুয়াডাঙ্গা শহরের রিকশাচালক আলতাফ মিয়া বলেন, ‘অনেক দিন ধরে গরমে মরে যাচ্ছিলাম। এখন পানি (বৃষ্টি) হইল। আরও হতি পারে। খুব ভালো লাগছে। ’

news24bd.tv/আইএএম

এই রকম আরও টপিক