এবার অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনপন্থীদের বিক্ষোভ

অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তাঁবু শিবির গেড়ে ফিলিস্তিনপন্থিদের বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। ছবি: রয়টার্স

এবার অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনপন্থীদের বিক্ষোভ

অনলাইন ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তাঁবু শিবির গেড়ে ফিলিস্তিনপন্থিদের বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। দেশটির শীর্ষ একটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শুক্রবার বিক্ষোভ করেছে শত শত বিক্ষোভকারী। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।

গাজায় যুদ্ধের বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভে ইসরায়েলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানানো হয়।

মূলত যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে অনুপ্রাণিত হয়ে তারা এই বিক্ষোভ করেছে।

শুক্রবার (০৩ মে) ইউনিভার্সিটি অফ সিডনিতে (সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়) বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী তাঁবু স্থাপন করেন। এই সময় তারা যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলমান আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।

প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলের সাথে যুক্ত সংস্থাগুলি থেকে সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়কে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানায়।

বিক্ষোভকারীরা অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ এবং তার সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। তাদের দাবি, গাজায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে অস্ট্রেলিয়া সরকার যথেষ্ট কাজ করেনি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেলবোর্ন, ক্যানবেরাসহ অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও একই ধরনের ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। যদিও পুলিশ মার্কিন ক্যাম্পাস থেকে ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারীদের জোরপূর্বক সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে, অস্ট্রেলিয়ায় এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি।

বিক্ষোভস্থলে স্বল্প সংখ্যক পুলিশ শান্তিপূর্ণ অবস্থানে ছিল। সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে বেশ কয়েকটি পুলিশের গাড়ি পার্ক করা হলেও বিক্ষোভে কোনো পুলিশ উপস্থিত ছিল না।

এই বিক্ষোভে প্রায় ৩০০ জনের অধিক বিক্ষোভকারী অংশ নেয়। এর মধ্যে ৩৯ বছর বয়সী ম্যাট তার দুই বছরের ছেলেকে কাঁধে নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। তিনি বলেন, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শুধু ছাত্রসমাজই বিরোধিতা করছে না। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, গাজায় কী হচ্ছে সেটা আমরা দেখছি। তাই মানবতার জায়গা থেকে সবার এই বিক্ষোভে অংশ নেয়া উচিত।

এদিকে, এই বিক্ষোভের কারণে অনিরাপদ বোধ করছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অধ্যয়নরত ইহুদী শিক্ষার্থীরা। তাদের মতে এ ধরনের আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে করা উচিত।

ইউনিভার্সিটি অব সিডনির উপাচার্য মার্ক স্কট বলেছেন, ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভকারীরা ক্যাম্পাস আংশিকভাবে অবস্থান করতে পারে, কারণ যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে কোনো সহিংসতা দেখা যায়নি।

news24bd.tv/DHL