যুক্তরাজ্য ইউক্রেন শান্তি চুক্তি বাঁধাগ্রস্ত করেছে

সংগৃহীত ছবি

যুক্তরাজ্য ইউক্রেন শান্তি চুক্তি বাঁধাগ্রস্ত করেছে

অনলাইন ডেস্ক

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ব্রিটিশ চাপে ইউক্রেন ২০২২ সালে রাশিয়ার সঙ্গে হওয়া একটি খসড়া শান্তি চুক্তি থেকে সরে এসেছে। তুরস্কের মধ্যস্থতায় চুক্তিটি হয়েছিল। এটি বাস্তবায়ন হলে ইউক্রেন সংঘাতের অবসান ঘটাতে পারত। কিন্তু কিয়েভ পরে আলোচনা থেকে সরে আসে।

খবর আরটির।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) জার্মান সংবাদপত্র ওয়েলট জানিয়েছে, চুক্তিটি হওয়ার পর রাশিয়া এতে বেশ কিছু শর্ত জুড়ে দেয়। শর্তগুলোর মধ্যে ছিল রুশ ভাষাকে ইউক্রেনের দ্বিতীয় সরকারি ভাষা করা। এমন কিছু শর্তের কারণে চুক্তিটি আর আশার আলো দেখেনি।

অবশ্য পেসকভ শনিবার এই দাবিগুলো অস্বীকার করেছে। ইউক্রেনের এমপি ডেভিড আরাখামিয়ার মন্তব্যে যা ফুটে উঠে। তিনি চুক্তি আলোচনায় কিয়েভের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

গত নভেম্বরে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে আরাখামিয়া বলেছিলেন, তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন শান্তি প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করেছিলেন এবং ইউক্রেনীয়দের রাশিয়ার সঙ্গে শুধু যুদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

পেসকভ জোর দিয়ে বলেছিলেন, কিয়েভ কার্যকরভাবে লন্ডনের সরাসরি চাপে চুক্তিটি বাতিল করেছে। বাকিটা জল্পনা-কল্পনা। আমাদের উত্স থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত।

খসড়া চুক্তিটি শান্তি আলোচনার ভিত্তি হিসাবে কাজ করতে পারে কিনা জানতে চাইলে পেসকভ বলেছিলেন, কিয়েভের জনসাধারণের অবস্থান ছিল রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা প্রত্যাখ্যান করা।

এছাড়া বেলারুশের রাষ্ট্রপতি আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো চলতি মাসের শুরুতে ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় ব্যর্থ চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন।

এদিকে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসন শান্তি চুক্তিতে বাঁধাগ্রস্ত করার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তবে তিনি একাধিক অনুষ্ঠানে রাশিয়ার সাথে ক্রমাগত বৈরিতার জন্য কিয়েভকে চাপ দেওয়ার নীতি সম্পর্কে কথা বলেছেন। যা তিনি বিশ্ব গণতন্ত্রের জন্য লড়াই বলেও দাবি করেছেন।

news24bd.tv/DHL