ইউক্রেনের আইনসভায় নতুন একটি বিল গৃহীত হয়েছে, যার ফলে এখন থেকে কয়েদিরা সামরিক বাহিনীর সদস্য হিসেবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে লড়াই করতে পারবেন। বুধবারের (৮ মে) এই আইন এই বিষয়ে ইউক্রেন সরকারের সিদ্ধান্ত বদলের দিকে ইঙ্গিত করছে। দীর্ঘদিন ধরে ইউক্রেন সরকার যুদ্ধে কয়েদিদের ব্যবহারের নিন্দা জানিয়ে আসছিলো। খবর আল জাজিরার।
আইনটি কার্যকর হতে হলে এতে আইনসভার চেয়ারম্যান ও প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সই লাগবে। এক ফেসবুক পোস্টে জেলেনস্কির দলের প্রধান ওলেনা শুলিয়াক জানান, আইনসভা যুদ্ধে কয়েদিদের ব্যবহারে রাজি হয়েছে। এই আইনের ফলে যেসকল কয়েদি নিজেদের মাতৃভূমি রক্ষায় অবদান রাখতে রাজি হয়েছেন তারা যুদ্ধ করতে পারবেন।
যুদ্ধে যোগদানের বিষয়টি ঐচ্ছিক থাকবে এবং শুধুমাত্র কিছু নির্দিষ্ট সংখ্যক কয়েদি যুদ্ধে অংশ নিতে পারবে।
ওলেনা জানান, যেসকল কয়েদির সাজার মেয়াদ আর তিন বছর বাকি আছে কেবল তারাই যুদ্ধে যোগ দিতে পারবে। যেসকল কয়েদি যুদ্ধে যোগ দেবেন তাদেরকে ক্ষমা করার জায়গায় প্যারোলে মুক্তি দেয়া হবে। যৌন সহিংসতা, দুইজনের বেশি মানুষকে হত্যা, গুরুতর দুর্নীতি ও সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এই আইনের আওতামুক্ত থাকবেন।
কয়েদিদের যুদ্ধে নিয়োজিত করার পক্ষে প্রচারণা চালানো প্রতিষ্ঠান প্রোটেকশন ফর প্রিজনারস অব ইউক্রেন গৃহীত আইনের প্রতি হতাশা প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান ওলেগ সিভিলি জানান, আমরা আইনটির পেছনের ধারণাকে সমর্থন করি, কিন্তু যে আইনটি গ্রহণ করা হয়েছে সেটি বৈষম্যমূলক। এই আইনের আওতায় কোনো কয়েদি ছুটি নিতে পারবে না, এবং তাদেরকে যদি শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ করতে হয় তবে তা তাদের সাজার চাইতেও বেশি হবে। যুদ্ধে যোগ দেয়া কয়েদিদের জন্য বিশেষ ইউনিট গঠনের ফলে কয়েদিদের শোষণ করা হতে পারে।
রাশিয়া শুরু থেকেই কয়েদিদের যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করে এসেছে এবং ছয় মাস যুদ্ধ করা কয়েদিদের প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রদর্শন করা হয়েছে।
news24bd.tv/ab
