রাশিয়ার সাথে চীনের ঘনিষ্ঠতা যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন

রাশিয়ার সাথে চীনের ঘনিষ্ঠতা যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ

অনলাইন ডেস্ক

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, রাশিয়ায় সামরিক উপাদান স্থানান্তরের অভিযোগে বেইজিংয়ের উপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য ওয়াশিংটন প্রস্তুত। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আরটির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, সামরিক সরঞ্জাম স্থানান্তরের জন্য ওয়াশিংটন চীনের বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা দিতে প্রস্তুত, যা রাশিয়ান সামরিক বাহিনী ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে বৈঠকের পর বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতাকালে মার্কিন কর্মকর্তা স্মরণ করিয়ে দেন যে ওয়াশিংটন ইতিমধ্যে ১০০টিরও বেশি চীনা সংস্থার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

তারা 'অভিযান করতে' এবং 'অতিরিক্ত ব্যবস্থা' নিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।

ব্লিঙ্কেন দাবি করেছেন, রাশিয়ান প্রতিরক্ষা শিল্পের প্রতি চীনের কথিত সমর্থন শুধুমাত্র ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়েই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে না বরং এই বিষয় নিয়ে ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোকেও চিন্তায় ফেলেছে।

এই সপ্তাহের শুরুর দিকে, ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞার খসড়া তৈরি করছে যা বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থা থেকে কিছু চীনা ব্যাংককে বিচ্ছিন্ন করতে পারে যদি না বেইজিং রাশিয়ার সাথে তার অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে।
ওই মার্কিন কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন যে চীনের সাথে বাণিজ্য রাশিয়াকে তার সামরিক শিল্প সক্ষমতা পুনর্নির্মাণের এবং এটি ইউক্রেনকে যুদ্ধে পরাজিত করতে সহায়তা করতে পারে।

এদিকে বেইজিং যুক্তরাষ্ট্রের এমন আচরণকে 'ভন্ডামি' হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেছে, ইউক্রেনকে বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়া যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া এবং চীনের মধ্যকার স্বাভাবিক বাণিজ্য সম্পর্কে হস্তক্ষেপ করতে চাইছে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিং শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) মস্কোর প্রতি বেইজিংয়ের সমর্থন সম্পর্কে ব্লিঙ্কেনের উদ্বেগের প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্ব জ্ঞানহীন এবং ভন্ডামিপূর্ণ কথা বলছে।

অপরদিকে ইউক্রেন সংঘাতকে চীন উস্কে দিচ্ছে দাবি করা ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গের অভিযোগও দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে চীন।

news24bd.tv/SC