বাইডেন প্রশাসনের মেমোরেন্ডাম বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানালেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ। তিনি বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সুপারিশ ও উদ্বেগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে পরিস্থিতি উত্তরণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আমরা পুরো বিষয়টি পর্যালোচনা করছি।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সাংবাদিকদের আলাপকালে সচিব বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের নানা ধরনের সম্পর্ক আছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সরকার শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে অনেক সচেতন। গেল কয়েক বছরে চারবার শ্রম আইন সংশোধন করা হয়েছে।
বাণিজ্য সচিব বলেন, যারা ট্রেড ইউনিয়ন নিয়ে কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে যায় এমন কিছু যাতে না হয় এমনটাই ওয়াশিংটন ডিসির চিঠিতে সতর্ক করা হয়েছে। এ বিষয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। সরকার চায় ট্রেড ইউনিয়ন থাকুক।
সচিব বলেন, নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের হুঁশিয়ারি তাদের রুটিন কাজ। আমরা আগে থেকেই এ ব্যাপারে তৎপর। যুক্তরাষ্ট্রের এ মেমোরেন্ডামে কোনো চাপ অনুভব করছি না আমরা। তাদের সাথে সব ব্যাপারে আলোচনা হয় আমাদের।
এই চিঠির প্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সরকারের নেয়া শ্রম অধিকারের বিষয়গুলো যুক্তরাষ্ট্রকে আবার জানাবে। আগামী সপ্তাহে একটি বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে যুক্তরাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক কোনো চিঠি দেয়া হবে কিনা সে বিষয়ে।
এই মেমোরেন্ডামের পর পরবর্তীতে পোশাক খাতে কোনো নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বলে মনে করি না আমরা। এ নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নাই। বাংলাদেশে লেবার রাইটস বা পোশাক খাতে এমন কিছু ব্যত্যয় হচ্ছেনা যাতে নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বলেও জানান বাণিজ্য সচিব।