লক্ষ্মীপুরে জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিব ইমাম খুনের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম জিহাদিসহ ৩৩ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) রাত (বুধবার দিবাগত) ১টার দিকে নিহত নোমানের বড় ভাই স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বাদি হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় এ মামলা করেন। মামলা নং ২৭। তবে, হত্যাকাণ্ডে জড়িত কাউকে এখনও আটক করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) রাত পৌনে ১০টার দিকে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের নাগেরহাট এলাকায় সন্ত্রাসীরা যুবলীগ নেতা নোমান ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিবকে গুলি করে হত্যা কর হয়।
এসময় তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও মোবাইল নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। গুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থল গিয়ে স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা তাদের পৃথক হাসপাতালে মৃত ঘোষণা করেন। তাদের মাথায় ও মুখে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে বলে জানান সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ারে হোসেন।
ঘটনার ২৭ ঘণ্টা পর চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কাশেম জিহাদিকে প্রধান আসামি করে ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১৫ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়।
নিহত নোমান সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের বশিকপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি (নোমান) প্রস্তাবিত জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক। অপরদিকে নিহত রাকিব বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা- একই ইউনিয়নের নন্দীগ্রামের রফিক উল্যার ছেলে ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। নিহত নোমানের স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান রয়েছে অপর নিহত রাকিবের স্ত্রী ও ৭ মাসের একটি শিশু সন্তান রয়েছে বলে জানা যায়।
এদিকে নিহতদের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বুধবার বাদ আছর জানাজার নামাজ শেষে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাদির করা এজাহার হত্যা মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে। মামলায় ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৪/১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান এসপি।