তামিমের আগে এক হাতে ব্যাট ধরেছিল যারা 

তামিমের এক হাতে ব্যাটিং।

তামিমের আগে এক হাতে ব্যাট ধরেছিল যারা 

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

এশিয়া কাপই শেষ তামিম ইকবালের এই খবর ছড়িয়ে পড়েছে চারেদিকে! শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই সুরঙ্গ লাকমলের বলে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন বাংলাদেশের ওপেনার তামিম ইকবাল। ৯ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর আহত অবস্থায় ব্যাট হাতে মাঠে নামেন তিনি। যা দেখে রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করেন মুশফিক।

নেমেই ৪৭তম ওভারের শেষ বলটি খেলেন তামিম।

এরপর ২ ওভার তিন বলে মুশফিকুর রহিম স্ট্রাইক ধরে রেখে ৩২ রান তোলে শ্রীলঙ্কার সামনে লড়িয়ে পুঁজি দাঁড় করায়।  

তামিমের এই সাহসী পদক্ষেপ অভিনন্দন জানিয়েছেন তার ভক্তরা। তার এ সিদ্ধান্তকে স্যালুট দিয়েছে অনেক ক্রিকেটার।

তামিমের বিরত্বের আগে আরও তিনজন এমন সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।

তারা হলেন:

১। গ্রায়েম স্মিথ ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিডনিতে একটি টেস্ট ম্যাচ বাঁচাতে ভাঙ্গা হাত নিয়ে মাঠে নামেন। ৮ ওভার ২ বল বাকি ছিল তখন ম্যাচের। একের পর এক বল ঠেকিয়ে যাচ্ছিলেন এক হাতে ভর করে।  

তবে ঠিক ১০ বল বাকি থাকতে মিচেল জনসনের একটি বল ব্যাট ও প্যাডের ফাঁক গলে বেড়িয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ বাঁচাতে না পারলেও স্মিথের এই ইনিংস বহুদিন ক্রিকেট ভক্তরা মনে রেখেছেন।

২। ১৯৮৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেডিংলি টেস্টের প্রথম দিনে ইংল্যান্ডের ক্রিস ব্রডের ব্যাট থেকে চুটে আসা একটি বল ঠেকাতে গিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ম্যালকম মার্শালের বা হাতের বুড়ো আঙ্গুলে দুটি চিড় ধরে। যদিও তিনি ডান হাতি বোলার ছিলেন, চিকিৎসকরা তাকে পরামর্শ দেন যাতে তিনি এই টেস্ট তো বটেই আরো ১০ দিন ক্রিকেট থেকে দূরে থাকেন।

কিন্তু তৃতীয় দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ল্যারি গোমেজ যখন একাই লড়ছিলেন. তখন সফররতদের নয় উইকেটের পতন ঘটে। ৯৬ রানে অপরাজিত ছিলেন গোমেজ। গোমেজ প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটা শুরু করলে মারশাল ব্যাট হাতে মাঠে নেমে সবাইকে অবাক করে দেন।

৩। এটাই শেষ নয়। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে বা হাতে কনুই পর্যন্ত ব্যান্ডেজ দিয়ে পেচিয়ে বল করতে নামেন ম্যালকম মার্শাল। ২৬ ওভার বল করে ৫৩ রান দিয়ে ৭ টি উইকেট নেন সেই ইনিংসে।

৪। এছাড়া অনিল কুম্বলে ২০০২ সালে অ্যান্টিগা টেস্টে ভাঙ্গা চোয়াল নিয়ে বল করতে নামেন। সে অবস্থাতে ব্রায়ান লারার উইকেট পান তিনি।  

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর