জামিন পেয়েও নাম-ঠিকানা বিভ্রাটে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে আটকে থাকা আনোয়ারুল ইসলাম অবশেষে কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেছেন। কাল সন্ধ্যায় তিনি সাতক্ষীরা জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান।
এর আগে গেল ১৫ জুলাই বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘নাম বিভ্রাটে কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না আনোয়ারুল’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপরই টনক নড়ে কারা কর্তৃপক্ষের।
শেষ পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে কলারোয়া থানা পুলিশ একটি রিপোর্ট দেয়। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদার মঙ্গলবার আনোয়ারুলকে মুক্ত করার নির্দেশ দেন।
মো. আনোয়ারুল ইসলাম সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ঝিকরা গ্রামের আবুল কাসেম খন্দকারের ছেলে।
তার স্ত্রী চায়না বেগম জানান, গত ৮ জুন তার স্বামী মো. আনোয়ারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে কলারোয়া থানা পুলিশ। এরপর তাকে ইয়াবা পাচারের ১২ নম্বর একটি মামলায় কলারোয়া থানায় ২ নম্বর আসামি করা হয়।
এ মামলার প্রধান আসামি শফিকুল ইসলামের পকেট থেকে ৫১ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হলেও তার স্বামীর কাছ থেকে কোনো ইয়াবা উদ্ধার হয়নি বলে জানান তার স্ত্রী। এই মামলায় তার স্বামী ঈদের আগেই জামিন লাভ করেন।
চায়না বেগম আরও জানান, তার স্বামীর মূল মামলার সাথে আরেকটি ফেনসিডিল পাচারের পুরনো একটি মামলা জুড়ে দেওয়া হয়। অথচ এ মামলার আসামির নাম মো. আনোয়ার হোসেন, পিতা মো. আবুল কাসেম, গ্রাম গদখালি, থানা কলারোয়া।
তিনি জানান, এই দুই মামলায় তার স্বামীর নাম, তার বাবার নাম এবং ঠিকানার গরমিল ছিল। অথচ সেই মামলার কারণে তার স্বামীকে এক মাস জেল খাটতে হলো।
সাতক্ষীরা সদর কোর্ট ইন্সপেক্টর আশরাফুল বারী জানান, গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর বিষয়টি জেলা ও দায়রা জজের নজরে আসে। পরে জেলা জজ তাকে মুক্তির নির্দেশ দেন।
শাকিলা/অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর
