অবশেষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাগাম টানতে যাচ্ছে সরকার। গুজব ও রাষ্ট্র বিরোধী প্রচারণা ও নানা বিধ সামাজিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এই আইন তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
এছাড়াও এর মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোকেও জবাবদিহিতার আওতায় আনা যাবে বলেও জানান তিনি। তবে এই আইনের মাধ্যমে বাক স্বাধীনতাকে খর্ব না করে জনকল্যাণের জন্য ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। যা এখন বিশ্বের প্রায় সাড়ে তিন বিলিয়ন মানুষের প্রতিদিনের রুটিন। ফ্রিজের মত একটু পর পর খুলে দেখতে ইচ্ছে করা এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন বিনোদনের তেমনি সাইবার অপরাধের চারভূমিও বলা চলে।
রাষ্ট্র বিরোধী প্রচার প্রচারণা, গুজব, ধর্মীয় উস্কানিসহ যৌনহয়রানী কি ঘটছেনা এখানে।
বাংলাদেশেও এই অপরাধ দিনকেদিন বেড়েই চলেছে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোর কোন জবাবদিহিতা না থাকায় অপরাধ সংগঠিত হওয়ার পরেও হচ্ছে না সুরাহা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উপর লাগাম টানতে ডেটা প্রাইভেসি আইন করতে যাচ্ছে তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ।
গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর ডেটা অফিস দেশে প্রতিষ্ঠাকরা, জবাবদিহিতা ও তথ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বিদেশের মাটিতে থাকা অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনা সহ নানা থাকছে আরও কঠোর আইন।
জনগনের বাক স্বাধীনতাকে ঠিক রেখে এমন আইন করা গেলে দেশের,মানুষের সাইবার জগৎ আরও নিরাপদ হবে বলে মনে করেন তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।
এরই মধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে ডেটা প্রাইভেসি আইনের খসড়া। যা অনুমোদন পেলেই জবাবদিহিতার আওতায় আসবে লাগামহীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
news24bd.tv নাজিম