আজ ১ জুলাই। ৫ বছর আগের এই দিনে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে ঘটেছিল ভয়াবহ নৃসংশ ঘটনা। যা মুহুর্তেই তাক লাগিয়ে দিয়েছিল সারা বিশ্বকে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন দেশে জঙ্গীবাদের মূল উৎপাটন করতে পারলেই এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধ করা সম্ভব।
২০১৬ সালের ১ জুলাই। রাত পৌনে ৯টা। গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের ৫ নম্বর প্লট হলি আর্টিজান বেকারিতে ঢুকে পড়ে কয়েকজন যুবক।
বেকারীতে জঙ্গীরা আটকে ফেলে বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে ভারী অস্ত্র দিয়ে তাদের উপরে আক্রমণও চালানো হয়। এমন রাত এর আগে দেখেনি কেউ। সারা বিশ্বের চোখ আটকে যায় সেখানেই।
রাত ভর বাইরে চলতে থাকে অভিযানের প্রস্তুতি, ভেতরে ততক্ষনে একে একে খুন হতে থাকে ৯ জন ইতালীয়, ৭ জন জাপানী, ১ জন ভারতীয় ও একজন মার্কিন ও বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিক। এছাড়াও রাত ভর জিম্মি করে রাখা হয় বাকিদের।
আরও পড়ুন
হলি আর্টিজান ট্রাজেডির ৫ বছর আজ
চার চাকার গাড়ি উড়ছে আকাশে (ভিডিও)
ভোরে আলো ফোঁটার আগেই সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে শুরু হয় অপারেশন থান্ডার বোল্ট। ৩৫ জন কে জীবিত উদ্ধারের পাশাপাশি অভিযানে মারা যান ৫ জঙ্গী।
দেশে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না করতে জঙ্গীবাদের মূল উৎপাটনে সরকারকে কাজ করার পরামর্শ দিচ্ছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
এছাড়াও নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আরও বিস্তর কাজ করার কথা জানায় কাউন্টার টেররিজম ইউনিট।
সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গীবাদ যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে সে বিষয়ে জিরোটলারেন্স নীতি অবলম্বন করেছে সরকার।
news24bd.tv এসএম